পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরের পৃথক স্থানে ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুজন। গতকাল সোমবার দুপুর এসব ঘটনা ঘটে।
দিনাজপুর অফিস জানায় : দিনাজপুরের পৃথক স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় ৪ কিশোরসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুজন। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে দিনাজপুরে প্রবলবেগে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় আকাশে বিদ্যুতের ঝলকানি চলতে থাকে।
মূল শহরের উপকন্ঠে উপশহর ৮নং বøকের রেলঘুমটি সংলগ্ন একটি মাঠে কিশোরেরা খেলা করছিল। আর মাঠের পাশেই একটি পুকুরে পাহারাদারদের জন্য থাকা একটি খড়ের ছাউনির নিচে ৭ কিশোর আশ্রয় নেয়। এ সময় তারা মোবাইলে গেম খেলছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। বেলা সাড়ে তিনটার প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হয় ওই খড়ের ছাউনিতে। বজ্রপাতে শব্দে কিশোরেরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। জড়িয়ে ধরা অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং একে অপর থেকে আলাদা করে। দ্রæত তাদের পাশের এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে ৪ জনকে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলো সাজ্জাদ (১০) পিতা আইনুল ইসলাম, মীম (৯) পিতা মৃত সাজু মন্ডল, আপন (১০) পিতা মকছেদ আলী ও জাহিদ হাসান (৮) পিতা মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। তাৎক্ষণিকভাবে আহত দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুইদ, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন ও স্থানীয় ৪নং আস্করপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাসপাতালে ছুটে আসেন। টিএনও সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা ঘোষণা করেন। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার কথা জানান। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কিশোরদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অপর আরো একটি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে প্রায় একই সময়ে। জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার শুকদেবপুর এলাকায় মাছ ধরা অবস্থায় বজ্রপাত হলে তিনজন মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষনিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার উপজেলার কাইল্যানী হাওরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সাইদুর মিয়া (৩০) ও মো. রাকিব মিয়া (১৬)। সাইদুর মিয়া উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্রামের মুকলিব আলীর ছেলে। অন্যদিকে মো. রাকিব মিয়া একই বাড়ির ফজল মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হাওরে মাছ ধরতে যান সাইদুর মিয়া ও রাকিব মিয়া। সঙ্গে সাইদুর মিয়ার মেয়ে ছোট্টমনিও (৭) ছিল। মাছ ধরার এক পর্যায়ে বজ্রপাতে নৌকা থেকে পড়ে দুইজন নিখোঁজ হন। পরে সাত বছরের ছোট্টমনি নৌকা চালিয়ে বাড়িতে এসে খবর দিলে স্বজনরা হাওরে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে দুইজনের লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।