নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের ফুটবলের প্রাণপুরুষ প্রয়াত তারকা ফুটবলার বাদল রায়ের পরিবারকে একটি ফ্ল্যাট ও ২৫ লাখ টাকা উপহার দিচ্ছেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার এ তথ্য জানান স্বয়ং বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে, আমাদের নামে একটা ফ্ল্যাট বরাদ্দ হয়েছে। এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে শুনেছি, ফ্লাটের সঙ্গে নাকি অর্থ বরাদ্দও আছে।’ প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রসঙ্গেস মাধুরী রায় আরো বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তিনি বাদলের জন্য যা করেছেন এবং এখন করলেন তাতে প্রমাণ হলো, তিনি আমাদের মাথার উপরই আছেন। তিনি যে উপহার দিচ্ছেন, এটা আমাদের জন্য বিরাট সম্মানের।’
২০১৭ সালে স্ট্রোক করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাদল রায়কে সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সাবেক এই ফুটবলার গত বছরের ২২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাদল রায়ের চিকিৎসার সময় তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার বাদলের মৃত্যুর পর তার পরিবারের পাশেও দাঁড়ালেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মাধুরী রায় বলেন, ‘সহায়তার জন্য আবেদন করা হয়েছিল, তা আমি জানতাম না। একদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফোন করে বলা হলো, একটি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। আমাকে সেটা পাঠিয়ে দিতে বলেছিল। আমি দিয়েছি। কয়েক দিন পর আবার ফোন করে জানানো হয়, বরাদ্দ অনুমোদন হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে যারা উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাদের জানাই ধন্যবাদ।’
জানা গেছে, বাদল রায়ের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী উপহার পাইয়ে দেয়ার উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাবেক ফুটবলার আবদুল গাফফার এবং ঢাকা আবাহনীর সমর্থক গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদশা।
বাদল রায় ছাড়াও কয়েকজন ফুটবলার ও সংগঠককে অর্থসহায়তা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরা হলেন- স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য সুভাস সাহা (৩০ লাখ টাকা), জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সহিদ উদ্দিন সেলিম (১০ লাখ টাকা), সাবেক ফুটবলার আজমত (১০ লাখ টাকা) ও সংগঠক হাজী মো. সাব্বির হোসেন (৫ লাখ টাকা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।