যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
দক্ষিণ কোরিয়াগামী আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীরা চরম হতাশায় ভুগছেন। করোনা মহামারির দরুণ তিন মাসের ছুটিতে দেশে এসে প্রায় দু’বছর যাবত এসব কর্মী দেশটির কর্মস্থলে ফিরতে পারছে না। আরো এক হাজার নতুন কর্মী দেশটিতে যেতে পারছে না। ফলে প্রতিমাসে প্রায় ত্রিশ কোটি টাকার রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। আজ সোমবার সেগুন বাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আটকে পড়া দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কমিটেড রি এন্ট্রি কর্মীরা এসব কথা বলেন। তারা দ্রুত দেশটির কর্মস্থলে যোগদানের সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে দেশে আটকে পড়া ইপিএস কর্মী এস এম আলী, মৃদুল সোম, মনজুরুল ইসলাম, আওলাদ, রতন দেসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীরা অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। সেদেশের আইন অনুযায়ী কোরিয়ায় প্রবেশ করে একই কোম্পানিতে চার বছর ১০ মাস কাজ করার পর কমিটেড কর্মী হিসেবে আগের কোম্পানিতে পুনরায় প্রবেশ করা যায়। এজন্য ৯০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে রি এন্ট্রি কমিটেড হিসেবে ৮৬২জন কর্ম এবং প্রায় এক হাজার ১০০ জন ইপিএস কর্মী ভিসাপ্রাপ্ত হলেও যেতে পারছেন না।
তারা তাদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে জানান, দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৮ সাল থেকে ‘এম্প্লয়মেন্ট পার্মিট সিস্টেম’ ইপিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ করে আসছে। বাংলাদেশী কর্মীরা ‘বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড’ বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করে থাকেন। ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় ২১ হাজার ৯৩৩ জন বাংলাদেশী কর্মী ইপিএসের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, প্রায় দু'বছর যাবত করোনা মহামরির ফলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ ভিসা নিষিদ্ধ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। আমাদের দেশের করোনার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পরও কমিটেড কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করতে পারেনি। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়ার পরে ছুটিতে আসা ইপিএসসহ অন্যান্য ভিসাপ্রাপ্ত বাংলাদেশী ব্যক্তিরা দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। যার ফলে পুনরায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে বাংলাদেশ এর ফলে আটকে থাকা দক্ষিণ প্রবাসী দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের আশার আলো নিভতে শুরু করে।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।