রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভোলার তেতুলিয়া নদীতে বালু উত্তোলনের উৎসব চলছে। অব্যাহত বালু কেটে উত্তোলনের কারণে নদীর তলদেশ গভীর হয়ে পানির স্রোত প্রবাহে নদী তীর ভেঙে যাচ্ছে। দিনে দিনে তেতুলিয়া নদী ভেঙেই চলছে। এতে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত অসহায় পরিবার। নির্বাক অসহায়ের মতে মুখ বুজে আছে সাধারণ মানুষগুলো। বিধাতার কাছে দু’হাত তুলে নালিশ দেয়া ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই। এমনই অবস্থা বাঘমারা ব্রিজ থেকে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ভোলা-১ আসনের এমপি আলহাজ তোফায়েল আহমেদের বাড়ির পেছনের নদী পর্যন্ত। এ অপ্রতিরোধ্য বালু ব্যাবসায়ীরা কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে বালু কাটছে তা জনমনে প্রশ্ন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তেতুলিয়া নদীর বালুর ওপর ভিত্তি করে দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন একাধিক বালু মহাল। এখানে সব লোকাল বালুই আসে তেতুলিয়া নদী থেকে। একটি সিন্ডিকেট কাজ করে এ ব্যবসার পেছনে। স্থানীয়রা মনে করছে, কোন অদৃশ্য শক্তি পেছনে কাজ করছে বলেই এ বালু কাটার কাজ অব্যাহত রয়েছে। কোনোভাবেই থামছে না এ বালু উত্তোলনের উৎসব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, স্থানীয় কিছু লোক ড্রেজার দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই চলে বালু উত্তোলনের কাজ। প্রতিদিন বড় বড় জাহাজে করে বালু পাড়ে এনে খালাশ করা হচ্ছে। আর এ বালু চলে যায় বিভিন্ন বালু মহালে ও ভোলার বিভিন্ন সরকারি রাস্তার কাজে। বালু কাটার ফলে নদীর তলদেশ গভীর হয়ে তীর ভেঙে পরছে। এতে শান্ত তেতুলিয়া নদী এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। আর এতে তেতুলিয়া নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। প্রতিদিন সর্বহারা হচ্ছে এ জনপদের মানুষগুলো। ভাঙনের তীব্রতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত ভাঙন রোধে সর্বহারা মানুষগুলো এখন অসহায় হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ তোফায়েল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী জানান, আমাদের প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে, তেতুলিয়া নদীতে বালু উত্তোলনের কথা নয়। তারপরেও কোথাও বালু উত্তোলনের খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের অভিযানের খবর পেয়ে তারা দিনের আলোতে তেঁতুলিয়া নদীতে বালু উত্তোলনের বদলে এখন রাতের আঁধারে বালু কাটছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।