Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তানকে টাকা না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আরিয়ানার অনুরোধ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ৫:১০ পিএম

আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর থেকেই দেশ ছেড়েছেন অনেকে। তালিবান শাসনে থাকেল তাদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এই আশঙ্কার দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। আফগানবাসীর সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন পপ তারকা আরিয়ানা সাঈদও। তবে আফগানিস্তান নিয়ে এবার নিজের উদ্বেগের কথা জানালেন এই পপ তারকা তিনি মার্কিন সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাতে তারা আফগানদের দুর্দশার কথা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হয়। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, যাতে পাকিস্তানে তারা আর কোনও বিনিয়োগ না করে।

সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় আরিয়ানা লেখেন, 'আমি অনুরোধ করছি যাতে আপনারা পাকিস্তানকে টাকা দেওয়া বন্ধ করেন। এই টাকা দিয়ে তারা আফগানিস্তানে পাঠায় যাতে আল-কায়দা, আইএসআইস ও তালিবানের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। আমার দেশের নিরীহ মানুষের জন্য, মানবিকতার জন্য এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ বন্ধ করুন। মানুষ কি এখনও পর্যন্ত কম সহ্য করছে?'

আরিয়ানা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উল্লেখ করে লিখছেন, 'আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না যে বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে আপনারা আফগানিস্তান থেকে চলে গেলেন। কাবুল থেকে মার্কিন নাগরিক ও আফগানিস্তানের কয়েকজন নাগরিককে বের করে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপের প্রশংসা করছি। কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান হবে না। এই অবস্থায় যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে পরিত্যাগ করা হল, তাদের কী হবে? হাজার হাজার মানুষের এখনও মাথায় কোনও ছাদ নেই। তাদের কী হবে?'

এরআগে দেশ ছাড়ার পর আরিয়ানা নিজেই জানান যে তিনি মার্কিন সামরিক বিমানে করে কাতারের দোহায় গিয়ে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি তুরস্কে যাওয়ার বিমান ধরেন। আফগানিস্তান ছেড়ে কাতারে পৌঁছেই আরিয়ানা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, 'আমি বেঁচে আছি এবং ঠিক আছি। এই গত দুই রাত আমি ভুলব না। আমি দোহায় পৌঁছেছি। আমি ইস্তানবুলে যাওয়ার বিমানের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার প্রার্থনা আপনাদের সকলের সঙ্গে থাকবে।'

আরিয়ানা সাঈদ আফগানিস্তানের একজন জনপ্রিয় পপ-তারকা। দেশের দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গেও কাজ করেছেন। একটি গানের অনুষ্ঠানে বিচারক হয়েছেন। আরিয়ানার জন্ম আফগানিস্তানের কাবুলে হলেও জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে সুইজারল্যান্ড এবং লন্ডনে। ফলে পশ্চিমা ভাবধারায় বেড়ে উঠেছেন। তার রক্তে মিশে রয়েছে তাজিক গোষ্ঠীর লড়াকু স্পর্ধা। আরিয়ানার মা ছিলেন তাজিক জনগোষ্ঠীর। দশকের পর দশক ধরে এই তাজিকরাই তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ