Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ স্ল্যাবটি বসল সেতুতে, শতভাগ রূপ পেল পদ্মাসেতুর সড়কপথ

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ৮:৪৯ এএম | আপডেট : ১০:২২ এএম, ২৩ আগস্ট, ২০২১

পদ্মা সেতু প্রকল্প নতুন এক মাইলফলক পূরণ করলো আজ সোমবার। সকালে সেতুতে শেষ স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ফলে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে সড়কপথ। সেতুর মোট দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের সবগুলোই বসানো শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করার ক্ষেত্রে বাকি থাকল শুধু পিচঢালাই।

আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে সেতুর শেষ স্লাব বসানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, সেতুর মোট দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে মাত্র তিনটি স্লাব বসানো বাকি ছিল। যার মধ্যে গতরাতে বসানো হয় দুটি স্লাব। আর আজ সকালে একটি।

এর আগে গতকাল পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, শেষ তিনটি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ বাকি আছে। সেতুর ১২ ও ১৩নং পিলারের স্প্যানে শেষ তিনটি রোডওয়ে স্লাব বসানো হচ্ছে। রাতের মধ্যে দুটি স্লাব বসানো হয়ে যাবে। সর্বশেষ একটি রোডওয়ে স্লাব সোমবার সকালে বসানো হবে। সকাল ৯টা থেকে ১০টির মধ্যে শেষ রোডওয়ে স্লাবটি বসানোর প্রস্তুতি রয়েছে। ফলে সকালেই রোডওয়ে স্লাব বসানোর কাজ শেষ হচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে আগামী অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। এ কাজে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতু বিভাগকে জানিয়েছে, তারা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবে।
এরআগে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুলাই পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি। মূল সেতুর কাজ হয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ।
সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এরপরও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর থাকবে। তবে সে সময়টা সেতুর কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামত ও ঠিকাদারের পাওনা মেটানোর জন্য নির্ধারিত।
পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন, নিচ দিয়ে রেল। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ