Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নির্মাণের ৭ বছরেও শুরু হয়নি সেবা কার্যক্রম

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

বেনাপোলের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র দুটি নির্মাণের ৭ বছরেও শুরু হয়নি সেবা কার্যক্রম। ফলে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গর্ভবতী মায়েরা। অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ভবন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বভাবিক হলেই হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম শুরু হবে।

জানা যায়, দেশের মা ও শিশুদের সেবা নিশ্চিত করতে সরকার দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪৭টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেন। ২০১৪ সালে ৭৮টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র তৈরি শেষ হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৪ সালে বেনাপোল বন্দর এলাকায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ২০১৩ সালে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যায়ে গোড়পাড়া মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গত ৭ বছর ধরে কোন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। এখন অসুস্থ মানুষের একমাত্র সেবা কেন্দ্র শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
শার্শা নিজামপুর ইউনিয়নে বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার নিতু বলেন, গত মাসে তার এক আত্মীয় গর্ভবর্তী অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়। লকডাউনে যানবাহন চলছিল না। মোটরসাইকেলে যশোর নেয়ার পথে তিনি মারা যায়। দ্রুত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর এমন খবর প্রায় পাওয়া যায়। বেনাপোলের বাসিন্দা আশানুর জানান, গত মাসে তার মেয়ে গর্ভবর্তী অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে শার্শা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়। কিন্তু ডাক্তার তাকে যশোর নেয়ার পরামর্শ দেয়। যাওয়ার পথে সে মারা যায়। বাড়ির কাছে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থাকলেও ডাক্তারের অভাবে চালু হয়নি। ফলে অনেকেই সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে মারা যায়।
শার্শা উপজেলা মা, শিশু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় দুটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আপাতত ৫টি করে বেড ও চেয়ার টেবিল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্ত আজও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি বরাদ্দ হয়নি। সরকারের পরিকল্পনা ছিল এক সাথে সবকটি সেবা কেন্দ্র চালু করবে। কিন্তু পদ অনুমোদন ও নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিলতায় এতদিন নিয়োগ হয়নি। অবশেষে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রত্যেক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দুই জন চিকিৎসক, দুই জন নার্সসহ মোট ১৮ জন জনবল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বভাবিক হলেই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র দুটি চালু হওয়া জরুরি। বিষয়টি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ তদারকি করছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ