Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢামেকে প্রতারক চক্রের কবলে রোগীর স্বজনরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন রোগীর তিন স্বজন। জুস খাইয়ে তাদের অচেতন করে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে প্রতারকরা। পুলিশ বলছে, এর আগেও ওই ওয়ার্ডে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল।

পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমি গাইনিজনিত সমস্যার কারণে গত ২০ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালের ২১২ গাইনি ওয়ার্ডের ৫ নম্বর বেডে ভর্তি হন। এরপর তার সঙ্গে থাকা তিন স্বজনকে প্রতারক চক্র জুস খাইয়ে অচেতন করে মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।

গতকাল সকালে এ বিষয়ে রোগীর পরিচিত হাসিবুল হোসেন শুভ জানান, সুমির দেখভালের জন্য নানি জহুরা খাতুন, মামা আমির হোসেন ও বোন সুমনা গত শনিবার রাতে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের করিডোরে অবস্থান করছিলেন। তখন এক নারী এসে ওই তিনজনের সঙ্গে গল্প শুরু করেন। এক পর্যায়ে রাতে তাদের তিনজনকে কৌশলে জুস খাইয়ে দেন। এতে একে একে তারা অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে মনে হয়েছিল তারা ঘুমিয়ে আছেন। পরে সকালের দিকে তাদের কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় বোঝা যায় তারা প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে অচেতন হয়েছেন। জহুরা খাতুনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই তিনজনের দু’টি মোবাইলসহ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খোয়া গেছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ড মাস্টার আবু সাঈদ জানান, রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় তিনজনকে জুস খাইয়ে অচেতন করা হয়েছে। তবে তারা ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইরে ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দুর্বৃত্তরা সেখানে ভর্তি এক রোগীর তিন স্বজনকে অচেতন করে টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে বলে ওয়ার্ড মাস্টার কাছ থেকে জানতে পেরেছি। বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক ও শাহবাগ থানাকে অবগত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সাবেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন থাকা অবস্থায় ওই গাইনি ওয়ার্ডে এ রকম আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে এসে এভাবে চক্রের দ্বারা সর্বস্ব খুইয়েছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি, প্রতারক ওই নারীকে আমরা সিসিটিভিতে দেখলাম। কিন্তু তাকে কেউ চিনতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, আমরা ওয়ার্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেকে এনেছিলাম, তাদের এই নারীর ছবি দেখানো হয়েছে। তারাও কেউ চিনতে পারেনি। আমরা তাদের বলেছি এই নারীকে দেখতে পেলে আমাদের কাছে নিয়ে আসার জন্য। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরিচালক জানান, ওয়ার্ডে কেউ এটেনডেন্ট পাশ ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না। সে বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তিনি রোগীর স্বজনদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। সামান্য পরিচয়ে কেউ কিছু দিলে খাবেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢামেক

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১১ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ