গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় রাজধানীর কোন কোন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ৮ দশমিক ২০ শতাংশই যাত্রাবাড়ীর। তারপর মিরপুর ও উত্তরায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার বেশি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডে ১০ দিন জরিপ চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনদিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে এসব এলাকায়। আজ রবিবার দুপুরে অধিদপ্তরের প্রকাশিত ‘মনসুন এডিস সার্ভে ২০২১ অ্যান্ড কারেন্ট সিচুয়েশন অব ডেঙ্গু’ শীর্ষক ওই জরিপ প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রামপুরা, উত্তরা, মিরপুর, বনশ্রী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, বারিধারা, দক্ষিণখান এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারী, মতিঝিল, মুগদা, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী, পল্টন, টিকাটুলী, গেন্ডারিয়া, শাহজাদপুর এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।
জরিপে বলা হয়, উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬টি সাইটে এবং দক্ষিণ সিটিতে ৩০টি সাইটে এডিসের লার্ভার বেশি উপস্থিতি পাওয়া গেছে। জরিপকালে ৩ হাজার ৪১২টি গৃহস্থালিতে এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি এবং ৫৮৮টি গৃহস্থালিতে লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এডিসের লার্ভার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বহুতল ভবনে। নির্মাণাধীন ভবনেও উল্লেখযোগ্যভাবে লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব তথ্য তুলে ধরেন ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নির্মূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জুন, জুলাই ও আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।