গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার পরিকল্পনা নিয়ে একটি চক্র মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক হিন্দু সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, মাহফুজ আনাম তার সম্পাদিত ইংরেজি ডেইলি স্টার পত্রিকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী ছাপিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। হিন্দু আইন সংস্কারের নামে কূটকৌশল নিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হিন্দু ধর্মীয় আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল ধর্মীয় সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলা হয়।
একাধিক হিন্দু সংগঠনের নেতার উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলনে ১৯৩৭ সালের আইনের কথা উল্লেখ করে আরও বলা হয়, স্বামীর সম্পত্তি হিন্দু নারী পান না, এই অপবাদ দিয়ে আপনারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতিভা বাকচী। উপস্থিত ছিলেন হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী, সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব সুজন দে, অ্যাডভোকেট লাকী বাছার, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নরেশ চন্দ্র হালদার, প্রকাশনা সম্পাদক সাগরিকা মন্ডল, হিন্দু মহাজোট ঢাকা মহানগরের সভাপতি ডিকে সমির প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট প্রতিভা বাগচি বলেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি এনজিও হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা সুসংহত হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে অশান্তির বীজ বপন করছে। ১০ হাজার বছরের পুরনো এই হিন্দু পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে একটি চক্র। তাদের দুরভিসন্ধি হাসিলে হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য আইন কমিশনে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। যার নেতৃত্বে আছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম ও তার স্বামী মাহফুজ আনাম সিন্ডিকেট।
তারা হিন্দু পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজন করে ব্যক্তি কেন্দ্রিক সম্পত্তি বণ্টন, বিবাহ বিচ্ছেদ, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ও শাস্তির বিধান, দত্তক, ভরণপােষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রীয়। পবিত্র বিধি-বিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত করছে। আর এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভেদ ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম এবং বাঁচতে শেখার পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজের সমাজ, সম্প্রদায় ও ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য হিন্দু সমাজ দায়ী থাকবে না।
হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের কোনো ধরনের পরিবর্তন হিন্দু সমাজ সহ্য করবে না। হিন্দু ধর্মীয় বিধিবিধান রক্ষা করতে হিন্দু সমাজ সারাদেশে ব্যাপক আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এবং হিন্দু বিধিবিধান রক্ষা করতে যে কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। আর সেকারণেই আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি তুলে ধরছি।
১. হিন্দু আইনের কোনো ধরনের সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা হবে না, হিন্দু আইনে - কোনো ধরনের হাত দেওয়া হবে না মর্মে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকারকে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
২. অবিলম্বে শাহীন আনামসহ যেসব এনজিও হিন্দু পরিবার, সমাজ ও ধর্ম বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হিন্দু সমাজ ও পরিবারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. শাহীন আনাম গংদের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট শর্তহীন ক্ষমা চাইতে হবে।
আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে সারাদেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। এতেও কাজ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।