Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পঞ্চগড়ের কৃষকের হাসি মুখে মলিনতা

প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে সংগ্রহ কম। বাজারে দাম নেই। গত সোমবার ফুটকীবাড়ী হাটে ধানের দাম দেখা গেছে প্রতিমণ ৫২০ টাকা। আবাদি জমি সংরক্ষণ ও সার, বীজ, কীটনাশকসহ জমি পরিচর্যায় উন্নত প্রশিক্ষণের যথেষ্ট অভাব থাকলেও পিছিয়ে নেই এ অঞ্চলের কৃষকরা। জমিতে সোনা ফলাতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জমিতে ফলানো সোনালি ধানের দোলা কৃষকের মুখে যে হাসি ফুটেছিল। কিন্তু সেই ধানের দাম না পাওয়ায় কৃষকের সেই মুখ আজ মলিন হয়ে গেছে। তারা আজ মনে হয় এতে বেশ অসহায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডুডুমারী এলাকার জসিয়ার রহমান জানান, ৩০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম হিসেবে লোকসান হচ্ছে। পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জেলায় ৯৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আমন অর্জন হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদরে ২৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর, তেঁতুলিয়ায় ১২ হাজার ৮শ’ ৩০ হেক্টর, দেবীগঞ্জে ২১ হাজার ৪শ’ হেক্টর, আটোয়ারীতে ১৪ হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর ও বোদা উপজেলায় ২২ হাজার ১শ’ ২০ হেক্টর জমিতে আমন অর্জন হয়েছে। যা থেকে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৮শ’ ৭০ মে. টন চাল উৎপাদন হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে জেলায় ৩ হাজার ৪শ’ ২৫ মে. টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৩১ টাকা। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় খাদ্য গুদামে ৮শ’ ৮৮ মে. টন, তেঁতুলিয়ায় ৩শ’ ২ মে. টন, বোদায় ৬শ’ ৮০ মে. টন ও দেবীগঞ্জে ৭শ’ ৬ মে. টন ও আটোয়ারী উপজেলা খাদ্যগুদামে ৮শ’ ৪৯ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের জেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগমুক্ত থাকায় সারা বছরই আবাদ ভালো হয়। এ বছর পঞ্চগড়ে আমন ধানের উৎপাদনের তুলনায় সরকার কর্তৃক চাল ক্রয় লাক্ষ্যমাত্রা অপ্রতুল। তাই সরকারের নির্ধারিত মূল্যে বরাদ্দ বাড়াতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, পঞ্চগড় খাদ্য স্বয়ংসম্পন্ন একটি জেলা। প্রতি বছর আমরা আমাদের জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রেরণ করা হয়। সরকারের চাল ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা কম থাকায় মিলাররা কৃষকদের কাছে ধান ক্রয় করছেন না। এতে স্বাভাবিকভাবেই প্রান্তিক কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এজন্য সরকারের নিকট তিনি চাল সংগ্রহে বরাদ্দ বাড়াতে অনুরোধ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পঞ্চগড়ের কৃষকের হাসি মুখে মলিনতা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ