প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০ বছর পর ফের কাবুলিওয়ালাদের দেশে ক্ষমতা কায়েম করার পথে তালেবানরা। আফগানিস্তান ইস্যুতে নানা মুনি নানা মত জাহির করছে। এরই মধ্যে বিগ বস ১৪ এর বিতর্কিত প্রতিযোগী আরশি খান ফের এক বোমা ফাটিয়েছেন। আরশির দাবি তার শরীরে নাকি আফগান রক্ত বইছে। সম্প্রতি নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রোলড হতে হয়েছে আরশিকে। তবে এবার বিষয়টা আর হালকা ভাবে নেননি তিনি।
আরশির কথায়, “এই নিয়ে তৃতীয় বার আমাকে নিশানা করা হল। ওরা ভাবে আমি পাকিস্তানি নাগরিক। এর জন্য কর্মক্ষেত্রেও আমাকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমি একটা কথা আজ স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি ভারতীয়। আমার কাছে ভারত সরকারের অনুমোদিত পরিচয় পত্র রয়েছে।”
তবে আরশি স্বীকার করেছেন, তিনি আদতে আফগান বংশোদ্ভূত। তার শিকড় রয়েছে আফগানিস্তানে। তার পরিবার ইউসুফ জাহির পাঠান গোষ্ঠীর অন্তর্গত। কিন্তু আরশির যখন মাত্র ৪ বছর বয়স তখনি তাঁর পরিবার ভারতে চলে এসেছিল। তিনি এখন ভারতীয় নাগরিক।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আরশি খান বলেন, “আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। ওখানকার পরিস্থিতির কথা ভাবলেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। বেশি চিন্তা হচ্ছে আফগান মহিলাদের নিয়ে। ছোটবেলায় এদেশে না চলে আসলে আজ আমাকেও হয়তো তাদের মতো ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে থাকতে হতো।”
উল্লেখ্য, বরাবরই বিতর্কের মধ্যে থাকতে বরাবর ভালবাসেন আরশি। অতীতে ‘অশ্লীল’ পোশাক পছন্দের জন্য বা অশ্লীল ভাবভঙ্গির জন্য বহুবার ট্রোল হতে হয়েছে তাকে। অনেকেই মনে করেন আরশি পাক বংশোদ্ভূত। এমনকি একবার স্বল্প পোশাকের বিশেষ বিশেষ স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার ছবি লাগিয়ে চরম বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আরশি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যখন তালেবানদের দখলে ছিল আফগানিস্তান, তখনই চালু করা হয়েছিল শরিয়া আইন। সেখানে স্বামী বা রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন পুরষসঙ্গী ছাড়া বের হওয়াতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এছাড়া নারীদের শিক্ষা, চাকরি করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। মার্কিন সেনা অভ্যুত্থানের পর আফগান সরকারের অধীনেই ধীরে ধীরে সেই অধিকার ফিরে পেয়েছিল আফগান নারীরা। কিন্তু আবারও দেশটিতে ফিরে এসেছে সেই পুরনো দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।