পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাকিস্তান আফগানিস্তানের উন্নয়নকে ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বুধবার নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের টেলিফোন আলাপের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান জোর দিয়ে বলেছেন, একটি শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে, শান্তি এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি সকল আফগানদের অধিকারের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমরান খান বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সমঝোতা এগিয়ে যাওয়ার সেরা উপায়। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য আফগানিস্তানের জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা এবং পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য নিয়োজিত থাকা সমানভাবে অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী ইমরান জানান যে, পাকিস্তান অনুরোধ অনুযায়ী ক‚টনৈতিক কর্মী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মী এবং অন্যান্যদের সরিয়ে নেয়ার সুবিধা দিচ্ছে। ডাচ প্রধানমন্ত্রীও পাকিস্তানকে তাদের সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টার জন্য সহায়তা এবং সুবিধার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উভয় নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছেন।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন (পিআইএ) প্রতিবেশী দেশটিতে অনিশ্চয়তা সত্তে¡ও কাবুল থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ জনকে সরিয়ে নিতে পেরেছে বলে এই উন্নয়ন ঘটেছে। দেশ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক বিদেশী মিশন এবং কাবুলে অবস্থানরত বেশ কয়েকটি বিশ্ব প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর এই সরিয়ে নেয়ার অভিযান শুরু হয়।
আফগানিস্তানে পাকিস্তান দূতাবাস অবিলম্বে পিআইএর সাথে যোগাযোগ করে যারা প্রত্যাবাসন মিশনে সহায়তা করার ফ্লাইটের পরিকল্পনা শুরু করে। পিআইএ মার্কিন নাগরিক, ফিলিপাইন, কানাডা, জার্মানি, জাপান এবং নেদারল্যান্ডসের মিশন, অন্যান্য বিশ্ব প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ছাড়াও তাদের লোকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য সময়সূচী চেয়েছিল। একদিন আগে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তালেবানের দ্রæত কাবুল দখলের প্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আফগানিস্তানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি সকল আফগানদের নিরাপত্তা এবং অধিকারের প্রতি সম্মান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
আফগানিস্তানের দ্রæত বিকশিত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইমরান খান জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের কাছ থেকেও একটি টেলিফোন কল পেয়েছিলেন। তার কাছেও ইমরান খান পাকিস্তান ও অঞ্চলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আফগানিস্তানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিক্সেনের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে ইমরান খান পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমস্ত আফগানদের অধিকার সুরক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সমঝোতা তৈরির গুরুত্বও তুলে ধরেছেন। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।