গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশের এমপিওভূক্ত মাদ্রাসার মধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০০০ মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব কে, এম, রুহুল আমীন দ্বিতীয় দফায় অনলাইনে বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী ৭৩টি মাদ্রাসায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার একযোগে উদ্বোধন করেন। এর আগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৬৯টি মাদরাসার বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মাদরাসায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন হবে বলে মহাপরিচালক আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা) এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল সভায় সংযুক্ত সকল মাদ্রাসার সভাপতি, অধ্যক্ষ/সুপারগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। ইতিমধ্যেই যেসকল মাদরাসায় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপিত হয়েছে তা যেন সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষন হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে, বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের যে উদ্দেশ্য তথা সেখানে বঙ্গবন্ধুর আত্মজিবনী সম্বলিত বই, স্বাধীনতার ইতিহাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিষয়ক বিভিন্ন বই, পুস্তক, প্রামাণ্য-চিত্র ব্যানার, ফেস্টুন দ্বারা সুসজ্জিত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এটি আগষ্ট মাস তথা শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট কালো রাতে সেনাবাহিনীর কিছু চাকুরিচ্যুত ও বিপদগামী সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জুলি ও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্ত, স্বাধীন বাংলার মহান স্থাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন্য সদস্য। এ অনুষ্ঠান থেকে আমি সেসকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি। সাথেসাথে ২১ আগষ্টের শহীদগণসহ যেসকল শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন একটি ভূখন্ড পেলাম তাঁদেরকেও স্বরণ করছি। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনেনিতে পারেনি, যারা চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচুকরে থাকুক তারাই জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশে না থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সৌভাগ্যবশত হত্যাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে মাঝে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যাক্তকরে বলেন এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। সর্বশেষে তিনি বঙ্গবন্ধু কর্নার রক্ষনাবেক্ষনের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে সেখান থেকে সঠিক শিক্ষা লাভ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সকল মাদরাসা প্রধানগণকে আহ্বান জানান । সেইসাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের যে নির্দেশনা দান করেছেন সেজন্য তাঁর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বক্তব্য শেষে মহাপরিচালক কে, এম, রুহুল আমীন তালিকাভুক্ত ৭৩টি মাদরাসায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার আলাদা আলাদা ভাবে প্রদর্শন পূর্বক সকলের সাথে সালাম বিমিয় করেন।
সভাশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার পরিজনের মধ্যে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের যারা জিবিত রয়েছেন সকলের সুস্বাস্থ্য ও দির্ঘায়ু কামনা করে দুয়া করা হয়। একই সাথে চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রদুর্ভাব থেকে দেশ ও জাতিকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে সাহায্য প্রর্থনা করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন, কাজীপাড়া সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হাসানাত মোঃ আমিনুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনের সময় মাদরাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, সর্বজনাব মোহাম্মদ আবু নাঈম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), মোঃ জিয়াউল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন), মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (প্রশাসন), মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, উপ-পরিচালক (অর্থ), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ), মাহফুজা ইয়াছমিন, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) এছাড়াও অনলাইনে মাদ্রাসার সভাপতি, অধ্যক্ষ/সুপার, শিক্ষকমন্ডলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।