ভাদ্রের শুরুর দিকে বজ্রের গর্জনের সাথে মেঘের ঘনঘটা, বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগের এমনটা পূর্বাভাস। কমেছে তাপমাত্রার পারদ। পশ্চিমা লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির আবহ তৈরি হয়েছে। এদিকে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অদূরে ভারতের অন্ধ্র উপকূলে অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অদূরে উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বৃষ্টিবাহী মৌসুমী বায়ু মাঝারি থেকে জোরালো হয়ে উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় স›দ্বীপে ১২৮ মিলিমিটার।
তাছাড়া ঢাকায় ২৩, চট্টগ্রামে ২২, সীতাকুন্ডে ৭৫, হাতিয়ায় ১০৪, কক্সবাজারে ১০৫, রাজশাহী ও সিলেটে ৩৩, রংপুরে ৭, খুলনা ও ময়মনসিংহে ৩, বরিশালে ৯, খেপুপাড়ায় ৫৪ মি.মি.সহ অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণ হয়। তবে খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৩৪.৩ এবং সর্বনিম্ন সিলেটে ২৪.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় পারদ নেমে আসে সর্বোচ্চ ৩২.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৫.৬ ডিগ্রিতে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
মৌসুুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।