পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। সিরিজ বোমা হামলায় বিএনপি জড়িত ছিল, তা না হলে কেন তারা নীরব ছিল?
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশের রাজনীতিতে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা অভিন্ন ষড়যন্ত্রের অংশ। এগুলোর মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। সব ঘটনায় প্রমাণ হয় বাংলাদেশের সা¤প্রদায়িক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে তারা। তৎকালীন বিএনপি সরকার সিরিজ বোমা হামলাকারীদের সহায়তা করেছিল।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একযোগে সারাদেশে বোমা হামলা করে সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীরা। যখন একযোগে সারাদেশে বোমা হামলা হয় তখন বিএনপি কেন নীরব ছিল। নিশ্চয়ই তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেই নীরব ছিল। বিএনপি এ সকল ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ডও বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ও জনবল একদিনে জোগাড় করা হয়নি। তৎকালীন সরকার নীরব ছিল কেন? তারা এই ঘটনার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তারা এটা করেছিল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭ আগস্টের বোমা হামলা ছিল উগ্র সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর শক্তি পরীক্ষা। একযোগে তারা শক্তি জানান দিয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে এ দেশে জঙ্গি কার্যক্রম।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি বিদেশি গণমাধ্যমে দেখলাম হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জাতিসংঘের কাছে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশে অনেকে গুম হয়েছে। তাদের অনেককে এখনও পাওয়া যায়নি। এটা বাংলাদেশকে অপমান করার শামিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জোসিকে সরকার গুম করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। কিন্তু থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে। তিনি অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছেন। অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাদের এ রকম গুমের অনেক সাজানো নাটক রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।