গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থিত জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটি বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি পালনকালে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিনা কারণে পুলিশ তাঁদের ওপর টিয়ারসেল ও গুলি চালিয়েছে।
ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা।
ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘মঙ্গলবার ১৭ই আগস্ট বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠেনের নেতাকর্মীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ............বাহিনী সরাসরি গুলি, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এই ধরণের বলপ্রয়োগ করার অধিকার এবং আইনি সুযোগ কোনো রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নেই। নবগঠিত কমিটির নেতৃত্বে আগামী দিনে যেকোনো মূল্যে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই অনির্বাচিত সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।’
পুলিশের গুলি করা প্রসঙ্গে এমডি এস এ রনি লিখেন, ‘এখানে কেন পুলিশ গুলি করবে? আন্দোলন না, হরতাল না, অসহযোগ আন্দোলন না, সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশের গুলি! পুলিশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া দরকার।’
মুহাম্মদ আবদুল আহাদ লিখেন, ‘বড় পদ পাইছে, নড়চড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। এখন গন্ডগোল লাগাতে পজিশন পাক্কা হলো।’
অরণ্য মোর্শেদের প্রশ্ন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় পুলিশি পাহারায়। বিএনপি তো রাস্তায় দাঁড়ায় নি। চন্দ্রিমা উদ্যানে নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছে। কেনো পিটালেন আপনারা? অঘোষিত বাকশাল কায়েম না করে ঘোষণা দিয়ে বাকশাল কায়েম করেন। গনতন্ত্র বলে তো কিছু নাই দেশে। আওয়ামীলীগের বিপক্ষে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। আওয়ামীলীগ কি বাংলাদেশ কিনে নিয়েছে?’
এমডি মানিক উদ্দিন মনে করেন, ‘স্বাধীন দেশে পুলিশের এই আচরণ খুব দুঃখজনক।’
এমডি বিপ্লব হোসাইন লিখেন, ‘যাই হোক মাঠে থাকেন সফলতা আসবেই।’
জুমন মজুমদারের পরামর্শ, ‘আন্দোলন-সংগ্রাম যা-ই করুন সবাইকে বলছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।