বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সান্তাহারে ডাক বিভাগের আরএমএস অফিসের কর্মচারীসহ স্থানীয় রেলওয়ের বিভিন্ন দফতরের প্রায় শতাধিক চাকরিজীবী রেলের কোয়ার্টার অবৈধ দখল করে বছরের পর বছর বসবাস করে আসছে। বরাদ্দকৃত এসব বাসায় অনেকে নিজে বসবাস না করে অন্যকে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে রেল বিভাগ প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।
অভিযোগে জানা যায়, ডাক বিভাগের সান্তাহার আরএমএস অফিসের মেইল অপারেটর মোহাম্মদ আব্দুর মন্ডল সান্তাহার জংশন স্টেশনের ইয়াড করোনীর টি-২৭৫/৭ নম্বর বাসাটি অবৈধভাবে দখল করে প্রায় দুইযুগের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছেন। এছাড়াও একই এলাকায় স্থানীয় রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য আব্দুস সামাদ, সাহেব পাড়ায় নিরাপত্তবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মো. আনিসসহ এ জংশন শহরের সাবেহপাড়া, চা-বাগান, স্টেশন কলোনী, ইয়ার্ড কলোনী, হার্ভে বিদ্যালয় এলাকা, ড্রাইভার কলোনী, লোকো পূর্ব ও পশ্চিম কলোনী, রানিং রুম এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক রেল কোয়ার্টারে ডাক বিভাগ এবং রেলওয়ের নিাপত্তাবাহিনী, রেল পুলিশ, রেলওয়ে ইলেকট্রিক বিভাগ, ট্রাফিক, ক্যারেজ, আইডাব্ল, পিডাব্লুসহ বিভিন্ন দফতরের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেল থেকে কোয়ার্টার বরাদ্দ না নিয়েই অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করছে। অনেক রেলকর্মচারীরা কোয়ার্টার বরাদ্দ নেয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে নষ্ট ড্যামেজ দেখিয়ে বিনা ভাড়ায় বছরের পর বছর ধরে বসবাস করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ে সর্ববৃহত্তম জংশন সান্তাহারে সাবেহপাড়া, চা-বাগান, স্টেশন কলোনী, ইয়ার্ড কলোনী, হার্ভে বিদ্যালয় এলাকা, ড্রাইভার কলোনী, লোকু পূর্ব ও পশ্চিম কলোনী, রানিং রুম এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় রেলের ৮৮০টি কোয়াটার রয়েছে। এর মধ্যে ১৫২টিতে রেলকর্মচারীরা বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করছে। বাকী ৭২৮টিতে রেল কর্মচারি ও বহিরাগতরা অবৈধ দখল করে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করছে। এ ব্যাপারে রেল বিভাগের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারণে অবৈধ দখল মুক্ত করছে না দায়িত্ব থাকা রেলের কর্তা ব্যাক্তিরা। ফলে তাদের ভ‚মিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এসএসএ ই/ ওয়ার্কসের কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, যেসব কোয়ার্টার বেদখল রয়েছে সেগুলো আমার পক্ষে একা উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। কারন র্দীঘ দিনের শিকড় একদিনে ওপরে ফেলা কঠিন। তবে রেলের শক্তিশালী উচ্ছেদ অভিযান টিম গঠন করা হলে তাহলে উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে। অবৈধভাবে বসবাসকারীদের দখল মুক্ত করার জন্য রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে চিঠির মাধমে একধিকবার বলা হয়েছে এবং দখলদারদের নিকট নোটিশ পাঠানো হলেও তারা দখল ছাড়ে না।
এ বিষয়ে পশ্চিমঞ্চলের রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ দিয়ে দায় এড়ানো যায় না। কোয়ার্টার থেকে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে হলে ওই দফতরে স্থানীয় কর্মকর্তােদর উদ্যোগ নিতে হবে তবেই আমি সহযোগিতা করতে পারবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।