পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর করা হবে। গতকাল পুরানো ঢাকার ধোলাইপাড়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণসভা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, খুনিদের বিচারের রায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখনো চারজন খুনি বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন। একজন যুক্তরাষ্ট্রে (রাশেদ চৌধুরী), একজন কানাডায় (নূর চৌধুরী)। সেখানে সরকারের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চলছে। আমরা মনে করি, খুব শিগগিরই তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারব। আর যে দু’জন (শরিফুল হক ডালিম ও কর্নেল রশীদ) আছেন, তাদেরকেও আমরা খুঁজছি। যেকোনো সময় তাদেরকেও আইডেন্টিফাই করে আমরা দেশে নিয়ে এসে শাস্তির (মৃত্যুদন্ড) ব্যবস্থা করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু শেষ হলেই বোধহয় সব শেষ হয়ে যাবে, আবার পাকিস্তান কায়েম করতে পারবে। তাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল, যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। আমাদের হৃদয়ে যে কান্নাটা ছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে বিচারের কাজটা আটকে রেখেছিল সেই খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচারও কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার দৃঢ়তা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে করেছেন। কোনো রক্ত চক্ষু কিংবা কোনো ভয়, হুমকি-ধামকিতে তিনি মাথা নত করেননি। তিনি তাদের বিচার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ১৯ মিনিটের যে ভাষণটি দিয়েছিলেন, সেখানে যাওয়ার আগে বঙ্গমাতা তাকে বলে দিয়েছিলেন, তুমি যা হৃদয়ে ধারণ করে চলছ এতদিন, ২৩ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে যা তুমি অর্জন করতে চেয়েছ, তোমার হৃদয় থেকে যেটি আজকে আসে সেটিই তুমি আজকে বক্তব্যে বলবে, দেশের জনগণকে জানাবে। তিনি তাই করলেন। আমরা কাছে থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। বঙ্গবন্ধু এলেন, দু’একজনের বক্তব্যের পরই বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা শুরু করলেন। তাকে অনেকে অনেক কাগজ দিলেন। অনেকেই কানে কানে অনেক কথা বললেন। কারো কথা কিন্তু বঙ্গবন্ধু শুনলেন না। তার হৃদয়ের কথাগুলো- যেগুলো তিনি বিশ্বাস করতেন, সেগুলোই তিনি একের পর এক বলে গেলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে কীভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা হয়েছে। তারা যে এখনও আছে সেই জানান দিয়েছিলেন। এই সবগুলোকেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছি। সবগুলোকেই আজকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।