পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ সড়কই খানা-খন্দে ভরা। হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। একটুতেই জমে যাচ্ছে পানি। ফলে সড়কে নামলেই পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। পৌর এলাকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ এসব সড়ক। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অর্ধেকের বেশি সড়কেরই বেহাল দশা। বছরের পর বছর এমন অবস্থা থাকলেও দেখার কেউ নেই। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি বছরের মধ্যেই শহরের সব সড়ক চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বেহাল দশা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কোর্ট স্টেশনের পাশ দিয়ে হাসপাতাল মোড় হয়ে রাজা রাম চন্দ্র রায় চৌধুরী সড়ক থেকে মোল্লাতেঘরিয়া পর্যন্ত বিচারপতি মাহাবুব মোর্শেদ সড়কটির।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, শহরের সবচেয়ে বড় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তিনটি সরকারি কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য অপরিহার্য এ সড়কটি। কিন্তু জায়গায় জায়গায় খানা-খন্দের কারণে প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়কে যানজট নিত্যসঙ্গী। সামান্য একটু রাস্তা পার হতে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
দুর্ভোগের আরেক নাম কুষ্টিয়া হাসপাতাল সড়ক। মেডিকেল কলেজ, প্রধান ডাকঘর, জজকোর্ট, ডিসি কোর্ট, খাদ্য অফিস, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে এ সড়কের বিকল্প নেই। কিন্তু পিচ, ঢালাই কিছুই নেই এ রাস্তায়। কিছ দূর পার না হতেই দেখা যায় বড় বড় গর্ত। কিন্তু উপায় না থাকায় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ভাঙা এ সড়ক পেরিয়েই প্রবেশ করতে হয় হাসপাতালে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আর এ খান চৌধুরী সড়ক। ছয় রাস্তার মোড় থেকে সড়কটি গিয়ে মিশেছে পৌরসভায়। অথচ এ সড়কের কার্পেটিংয়ের অস্তিত্বই বিলীন হতে বসেছে। খানা-খন্দ আর গর্তে চলাচলের একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। এছাড়াও শহরের অর্জুনদাস আগরওয়ালা সড়ক, আমলাপাড়া, টালিপাড়া, জেলখানা রোড, চৌড়হাস, কোর্টপাড়া, বড় স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন সড়কেরও একই অবস্থা।
শহরের অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, এসব সড়কের বেশিরভাগেরই সংস্কারের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সড়কে কাজও শুরু হয়েছে। তবে ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে কয়েকটি সড়কে কাজ শুরু করা যায়নি। বার বার তাগাদা দেয়ার পরও চলমান লকডাউন এবং বর্ষার অজুহাত দেখিয়ে কাজ শুরু করতে গড়িমশি করছে ঠিকাদাররা। তবে চলতি বছরের মধ্যেই শহরের সব সড়ক চলাচলের উপোযোগী হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।