পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে। হঠাৎ বড় দরপতন, এর পরই বড় উত্থান, এভাবেই বিশ্ববাজারে গত সপ্তাহের পাঁচদিন পার করেছে স্বর্ণ। অবশ্য ব্যাপক অস্থিরতার পরও সপ্তাহ শেষে কিছুটা বেড়েছে স্বর্ণের দাম।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৭৬৩ ডলার। লেনদেন শুরু হতেই বড় দরপতনের মধ্যে পড়ে স্বর্ণ। একপর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৬৯৯ ডলারে নেমে যায়।
বড় এ দরপতনের পর অবশ্য আবার ঘুরে দাঁড়ায় স্বর্ণ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দাম বেড়ে ১৭৫১ ডলারে উঠে আসে। এরপর আবার দাম কমে ১৭১৮ ডলারে নেমে যায়। সপ্তাহের প্রায় পুরো সময়জুড়ে এমন উত্থান-পতনের মধ্যে থাকে স্বর্ণের দাম।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে স্বর্ণের দাম বাড়ে। এতে একদিনেই স্বর্ণের দাম বাড়ে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যার ওপর ভর করে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোশ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও এপ্রিল ও মে মাসের প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকে।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। ফলে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সর্বশেষ গত ১৯ জুন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়। বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম কমে তাতে বাজুস চাইলে ভরিতে স্বর্ণের দাম চার হাজার টাকা পর্যন্ত কমাতে পারত।
বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয় ২০ জুন থেকে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ৮১৭, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৬৮ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৪৯ হাজার ৫৪৬ টাকা। বর্তমানে এ দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কমানোর পর এক মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বেশ স্থিতিশীলতা দেখা যায়। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গত সপ্তাহের আগ পর্যন্ত প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮০০ থেকে ১৮১৫ ডলারের মধ্যে অবস্থান করছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি মাসের শুরু থেকে বড় দরপতনের মধ্যে পড়ে স্বর্ণ। এতে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৫০ দশমিক ৩৭ ডলার বা ২ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে যায়।
সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫৭ ডলার বা দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই বেড়েছে ২৭ দশমিক শূন্য ১ ডলার বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর ফলে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭৯ দশমিক ৪৫ ডলারে।
এদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি গত সপ্তাহে আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দামও বেড়ছে। গত সপ্তাহে এই ধাতুটির দাম ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ১ হাজার ২৬ দশমিক ৫০ ডলারে উঠে এসেছে। আর রূপার দাম ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ২৩ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।