Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সাথে ডব্লিওএফপি শুরু করলো সাইক্লোন প্রস্তুতি বিষয়ক পাঠ্যসূচি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৬:৪২ পিএম

দেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সাথে ডব্লিওএফপি শুরু করলো সাইক্লোন প্রস্তুতি বিষয়ক পাঠ্যসূচি। গত শুক্রবার রাতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিওএফপি) ও জাতীয় সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি)-এর নেতৃত্ব দানকারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (এমওডিএমআর)-পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিউনিটি-ভিত্তিক সাইক্লোন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস্ বা সাইক্লোনের প্রাক-সতর্কীকরণ পদ্ধতির ওপর এই পাঠ্যসূচি চালু করা হয়।

অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসিন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্‌ রেজওয়ান হায়াত, সিপিপি-এর ডিরেক্টর আহমাদুল হক, কক্সবাজারের ডেপুটি কমিশনার মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজারের ডব্লিওএফপির ইমার্জেন্সি কোঅর্ডিনেটর শিলা গ্রুডেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও ব্র্যাকের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নতুন কিছু নয়; স্বাধীনতার আগে হওয়া সাইক্লোন ভোলা থেকে শুরু করে ২০২০ সালে সাইক্লোন আম্ফান ও এর মধ্যে হওয়া অনেক বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের মানুষ জলবায়ু বিষয়ক ধাক্কার ক্ষেত্রে নিজেদের সহনশীলতা প্রমাণ করেছে। ১৯৭০ সাল থেকে জীবন বাঁচাতে ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সময় কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রটোকল তৈরি হয়ে এসেছে, যার একটি হলো আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস্ বা প্রাক-সতর্কীকরণ পদ্ধতি প্রবর্তন করা, যা দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটির মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ ও জনগোষ্ঠী সম্ভাব্য কোনো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবে।

ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ও ব্র্যাক-এর হিউম্যানিটেরিয়ান লিডারশিপ একাডেমির সহায়তায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ডব্লিওএফপির পারস্পরিক সহায়তায় এই ট্রেনিং মডিউল তৈরি করা হয়। এর লক্ষ্য হলো, স্বেচ্ছাসেবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যেন যেসব উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম চালু আছে, সেখানের জনগোষ্ঠীর মানুষদেরকে তারা আগে থেকেই আরও ভালোভাবে সতর্কতামূলক তথ্য দিতে পারে।

এমওডিএমআর-এর সচিব মোঃ মোহসিন বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে আমাদের জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম পথ হলো জরুরি অবস্থা মোকাবেলার পদ্ধতিকে শক্তিশালী করা।” তিনি আরও বলেন, ”ডব্লিওএফপি ও ইউএসএআইডিকে তাদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যার মাধ্যমে এই পাঠ্যসূচি বাস্তবে রূপ লাভ করতে যাচ্ছে”

কক্সবাজারে ডব্লিওএফপির ইমার্জেন্সি কোঅর্ডিনেটর শিলা গ্রুডেম বলেন, “এই পাঠ্যসূচি প্রণয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাক-সতর্কতামূলক পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটবে ও যেসব মানবিক সংস্থা জরুরি অবস্থায় সাড়াদানের জন্য নিয়োজিত আছে, তাদের জন্য একটি মূল্যবান রিসোর্স বা সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।”

সিপিপি-এর ডিরেক্টর আহমাদুল হক বলেন, ”এই নতুন পাঠ্যসূচির কল্যাণে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ