খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণ ও জালিয়াতির মাধ্যমে জোরপূর্বক বিয়ের অভিযোগে নোটারী পাবলিক, আইনজীবীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ কিশোরীটিকে শুক্রবার গভীর রাতে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় মূল আসামি মো. রেজা, নান্নু সরদার ও তাদের পিতা মফিজুল সরদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজাজ শফী জানান, গত ১ আগষ্ট দুপুরে উপজেলার কালুয়া গ্রামের রফিকুল মোল্লার ১৬ বছরের শারিরীক প্রতিবন্ধী কন্যাকে ফুঁসলিয়ে একই গ্রামের মো. রেজা ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর রেজা তার নিজের পরিচয় গোপন করে বড়ভাই মিল্টন হোসেন বিল্লাল এর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। কিশোরীটির মা রোজিনা খাতুন জানতে পেরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য রেজাদের বাড়িতে গেলে তাকে মারপিট করা হয়। তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হলে পুলিশকে জানান। পুলিশ শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার কালুয়া গ্রামে ছেলের বাড়ি থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইমরান জানান, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিয়ের ঘটনায় পাইকগাছার দু জন আইনজীবীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন রোজিনা খাতুন।মামলার আসামীরা হচ্ছেন, মফিজুল সরদারের ছেলে মো. রেজা (১৬), মিলটন সরদার (২৮), নান্নু সরদার (২৫), মফিজুল সরদার (৬০), পাইকগাছা আদালতের এডভোকেট শাহানারা পারভিন, নোটারী পাবলিক এডভোকেট সমীর কুমার বিশ্বাস, আবিদ ও সাব্বির।