Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাকরি প্রত্যাশীদের অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন

মানববন্ধনে চাকুরী প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৯:১৯ পিএম

দেশের গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থগারিক (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায়) চাকুরী প্রত্যাশীদের অবিলম্বে পূর্বের নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। এমপিওভূক্ত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজে গত দশ বছর যাবৎ গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর) এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে প্রায় ৯৫ শতাংশ নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকের দুটি নবসৃষ্ট পদ তৈরি করা হয়। উক্ত পদে জুলাই ২০২০ থেকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেও নানা কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয়ে ফের ২৩ নভেম্বর ২০২০ (সংশোধিত) মাদ্রাসা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায়ও উক্ত পদ দুটি বহাল রাখা হয়। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান চাকুরী প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি খান সাইফুল ইসলাম ও ওলিউর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখেন।

দেশের হাজার হাজার বেকার শিক্ষার্থীরা উক্ত নীতিমালা অনুযায়ী মাদ্রাসা গুলোর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া দেখে প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল শর্তাবলী মেনে আবেদন পত্র জমা দিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দুটি পদে নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হয়েছিল গত ২৮ জানুয়ারি। এরপর থেকে অজ্ঞাত কারণে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় আজও পর্যন্ত এই দুটি পদে প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হয়নি। স্কুল, কলেজ এই দুটি পদে গত ১০বছর যাবৎ নিয়োগ চলমান রেখে গত ৩০ মে পর্যন্ত ৯০-৯৫০% নিয়োগের পরে উক্ত পদ দুটিকে শিক্ষক/প্রভাষক এর মর্যাদা দিয়ে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কে নিয়োগ সুপারিশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ গত ৩১ মে একটি আদেশ জারি করে। কিন্তু মাত্র দু/এক মাস নিয়োগ চলে দীর্ঘ ৬/৭ মাস পর্যন্ত সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় বন্ধ রেখে পদ দুটিকে শিক্ষক/প্রভাষক এর মর্যাদা দিয়ে উক্ত পদের নিয়োগ (এনটিআরসিএ) কে সুপারিশ করে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ গত ১৮ জুলাই একটি আদেশ প্রকাশ করে। তাতে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাদ্রাসায় আবেদন করে নিয়োগের আশায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী প্রক্রিয়াধীন আছি, তারা আজ সর্বশান্ত হয়ে পথে নেমেছি। সরকার গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদ দুটিকে পদোন্নতি দিয়ে যে শিক্ষক/প্রভাষক মর্যাদা দিয়েছেন এই মর্যাদাকে আমরা সকল চাকুরী প্রত্যাশীরা স্বাগত জানাই।

তারা বলেন, গত ১৮ জুলাই অফিস আদেশ জারির পূর্বে সরকারের পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী আমরা যারা সকল শর্তাবলী মেনে লক্ষ লক্ষ টাকা পয়সা খরচের মাধ্যমে আবেদন করে নিয়োগের আসায় প্রক্রিয়াধীন আছি তাদের নিয়োগ পূর্বের নিয়মে সম্পন্ন করার জন্য জোর দাবি জানাই এবং প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে ৩১ মে তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অফিস আদেশ জারির পূর্বে স্কুল/কলেজে নিয়োগের আশায় যারা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তাদের নিয়োগও পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন করার দাবি জানাই।

 



 

Show all comments
  • kallan ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪২ পিএম says : 0
    Hello,,, আমি শ্যবন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আমার পড়া লেখা করে ডিল্পোমা পাস করেছে আথিধ টাকা অভাবে লেখা পড়া বন্ধ দেয় আমি দূশ্চিতা নিয়ে টেনশন ভুগছেন কে বা আমি বলবো ,দয়া করে চাকরি নিয়োগ দেন
    Total Reply(0) Reply
  • মোছাঃ শারমিন আক্তার ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৩ পিএম says : 0
    আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী,শারমিন আক্তার ।আমার একটা হাত নাই ।আমি এইচ এস সি পাশ করেছি বতমান অনার্স পরি ।আমি তিন মাস কম্পিউটার কোস করেছি, সাটিফিকেট আছে।আমার মা অন্যর বাড়িতে কাজ করে আমার পড়া লেখ আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী, আমার একটা হাত নাই ,আমি এইচ এস সি পাশ করেছি।বতর্মান অনার্স পরি ।আমি তিন মাস কম্পিউটার কোস শেষ করেছি,সাটিফিকেট আছে।আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি আমার মা সে বতমান শক্তিহীন হয়ে বিছানায় পরে আছে।খুব কষ্ট আছি মায়ের ঔষুধ কিনতে পারছি না ,পড়া লেখা করতে পারছি না ,না খেয়ে দিন কাটছে কষ্টে মাধ্যমে।যদি দয়া করে আমার একটা চাকরি আবেদন করছি ।একটা চাকরী প্রয়োজন ,
    Total Reply(0) Reply
  • Minara Khatun ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম says : 0
    আসসালামুআলাইকুম আমি মিনারা আমার দুই হাত আর পায়ে কোনো আঙ্গুল নাই আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। আমার মা নাই জন্ম মের ছয়মাস পড় মারা গেছেন। আমার বাবা আবার বিবাহ করেন আমার এখন খোজ নেয় আমার দাদি আমাকে অনেক কষ্টে মানুষ করছে আমার জীবন টা খুব কষ্টের। আল্লাহর রহমতে আমি দুইটা দিয়ে লিখতে পারি ।এখন আমি চাচার বাসায় থাকি তার অবস্থা বেশি ভালোনা তার তিন মেয়ে। আমি এখন আল্লাহর রহমতে কারমাইকেল কলেজ রংপুরে দাদ্বশ শ্রেনীতে পড়ি আমার সামনে পরীক্ষা আমার পড়াশোনার খরচ বহন করার মত কেউ নাই । আমার প্রতিবন্ধীর টাকা দিয়ে চলতে হয় ।আমার চাকরির খুব দরকার। আপনার কাছে আমার অনুরোধ আমাকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাকুরী প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ