পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিশ্বব্যাংকের সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবনাকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার অভিপ্রায়' উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়ি তৈরি বা শিক্ষার সুযোগের নামে বিশ্বব্যাংক যেন ধানাইপানাই না করতে পারে এ বিষয়ে সুপারিশ করেছে সংদীয় কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান ও মো. হাবিবে মিল্লাত এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন।
কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা কমিটিকে বলেছি যে বিশ্বব্যাংক এ ধরনের ধানাইপানাই করে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায়। রোহিঙ্গাদের সেটেলমেন্টের জন্য এই সব প্রস্তাবনা মানা যাবে না। আমরা স্পষ্টতই এর বিরোধিতা করেছি। আমরা খুব কঠোরভাবে বলেছি, বিশ্বব্যাংকের ঘাপলার চক্করে যেন আমরা না পড়ি। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হবে, আমরা তাদের সাময়িক জায়গা দিয়েছি। আপনারা তাদের মিয়ানমারে ফেরতের যাবতীয় ব্যবস্থা করুন। আমাদের এখানে থাকার জন্য তাদেরকে ভবন তৈরি করে দেবেন। তাদের চাকরির সুযোগ করে দেবেন। জমি কেনার সুযোগ দেবেন এসব ধানাইপানাই নয়।
তিনি জানান, সংসদীয় কমিটির অবস্থান হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে কোন ধরনের আলোচনায় মন্ত্রণালয় যেন বলে যে 'তারা শরণার্থী নয় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী। কাজেই আলোচনার প্রথম এজেন্ডা হবে তাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যাবে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমিটিকে জানিয়েছেন আমাদের এখানে ৯-১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনশ জনেরও কম আছে যারা গ্রাজুয়েট। তাদের তো সেই দেশেই পড়াশোনা করার অধিকার নেই। বিশ্বব্যাংক চাইলে মিয়ানমারকে টাকা দিক সে দেশে রোহিঙ্গাদের পড়াতে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা ভাসানচর পরিদর্শনে গিয়ে খুশি হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ এ রকম করার কথা বলেছে। কিন্তু, আমরা সেটা কেন করবো। এখানকার জায়গা সংকটের কারণেই আমরা ভাসানচরে তাদের নিচ্ছি। তাছাড়া এটা আমাদের বনের জমি। তাদের কারণে আমাদের বন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশে অন্তর্ভুক্ত করাসহ একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাবসহ 'রিফিউজি পলিসি রিফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক' নামে ১৬টি দেশের শরণার্থী ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। ফ্রেমওয়ার্কে বিষয়ে মতামত চেয়ে জুনের ৩০ তারিখ বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে সেটি অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এর পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সরকার ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, কাজ, চলাফেরা, জমি কেনা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হওয়াসহ সব ধরনের আইনি অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে বিশ্বব্যাংকসহ যে সকল দাতা সংস্থা ও দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে অর্থ ও মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার ব্যাপারে কথা বলছে তাদের প্রত্যেককে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো ই- মেইলের মাধ্যমে নিয়মিত অবহিত করার এবং জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনার সুপারিশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।