Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নদীভাঙন অব্যাহত অসহায় বাসিন্দারা

ভারতে অতিবৃষ্টি

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি কোথাও বৃদ্ধি কোথাও হ্রাস পাচ্ছে। আবার কোথাও অপরিবর্তিত বা থমকে আছে। সেই সাথে অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙন। উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল হয়ে পদ্মা-মেঘনার ভাটি ও মোহনায় চাঁদপুর-নোয়াখালী-ভোলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে নদীভাঙন। মোহনায় তীব্র ঘূর্ণিস্রোতের কারণে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীপাড়ের বসতভিটা, ফল-ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, বাঁধ, হাটবাজার, স্কুল-মাদরাসা, মসজিদসহ একের পর এক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে অসহায় নদীতীরের বাসিন্দারা।

এদিকে প্রধান নদ-নদীসমূহের উজানের অববাহিকায় উত্তর-পূর্ব ও মধ্য-ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ৫৮টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৯টিতে হ্রাস পায়। দু’টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। উজানে গঙ্গায় পানি বেড়ে যাওয়ায় পদ্মা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পায়।

গতকাল সকালে ভাটিতে শরীয়তপুর জেলার সুরেশ^র পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। তবে বিকাল নাগাদ পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৪৪ সে.মি. নিচে আসে। উজানে গঙ্গা নদীতে ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাটিতে পদ্মা নদী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১০৩ সে.মি., গোয়ালন্দে ৩৪ সে.মি নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রধান নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে পাউবো গতকাল জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল এবং যমুনা নদে পানি হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অবস্থা বজায় থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। এ অবস্থা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুশিয়ারা ব্যতীত প্রধান নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস উল্লেখ করে পাউবো জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, দার্জিলিং, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের অনেক স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পানি দ্রæত বৃদ্ধি পেতে পারে। কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে ১২০, পাসিঘাটে ৫৬ মিলিমিটার। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে লরেরগড়ে ১২০, সুনামগঞ্জে ৯৫, লালাখালে ৯৩, শেরপুর-সিলেটে ৮৫, মহেশখোলায় ৭৩, পঞ্চগড়ে ৫৫, জাফলংয়ে ৫২, ছাতকে ৪৮ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পাউবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ