পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা চার মাস কমিটি শূন্য থাকার পর রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে অচেনা নেতৃত্ব পেল ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ। এনিয়ে সংগঠনের ত্যাগী বঞ্চিত ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝে বইছে বির্তকের ঝড়। অভিযোগ উঠেছে, আর্থিক লেনদেনে বিগত সময়ে রাজপথে অচেনা একজনকে ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ছাত্রদল করে আসা দলে অনুপ্রবেশকারীকেও আনা হয়েছে নেতৃত্বেব। ফলে দীর্ঘদিন রাজপথে সক্রিয়রা হয়েছেন বঞ্চিত।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নবগঠিত ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়েছেন আল আমিন। তিনি ঢাকায় থাকেন। পড়াশুনাও করছেন ঢাকাতে। বিগত জেলা ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে তার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। অথচ হয়ে গেছেন জেলার সভাপতি। জানা যায়, নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) অভিনন্দন জানালেও বঞ্চিত ও সাবেক ছাত্র নেতাদের কেউ কেউ বলছেন এটি একটি ‘পকেট কমিটি’ । কমিটির র্শীষ নেতৃত্বে যারা পদ পেয়েছেন তারা অনেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে অপরিচিত।
কমিটির ১নং সহ-সভাপতি আফজাল এক সময় নাসিরাবাদ কলেজে ছাত্রদল করলেও ভোল্ট পাল্টে তিনি ভাগিয়ে নিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের র্শীষ পদ। এছাড়াও ঢাকায় পড়াশুনা এবং অবস্থান করেও পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন একাধিক অচেনা মুখ। যদিও তারা ময়মনসিংহের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।
জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব বলেন, যাকে জেলা ছাত্রলীগের পদ দেয়া হয়েছে সে ময়মনসিংহের রাজপথ সম্পর্কে অবগত নয়। আমরা তাকে কখনও ময়মনসিংহে দেখিনি। শুনেছি সে ঢাকায় পড়াশোনা করেছে। নিয়ম হচ্ছে ময়মনসিংহে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ছেলেকে কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক করা। এটি পকেট কমিটি হয়েছে।
কমিটি ঘোষনার খবরে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজ উদ্দিন রানা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ভেবে ছিলাম আওয়ামীলীগের রাজনীতি এখন ঠিক হবে টাকায় বিক্রি হবে না হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী মুক্ত কমিটি হবে, ত্যাগীরা মূল্যায়িত হবে। কিন্তু ছাত্রলীগের কমিটি দেখে অবাক হলাম, যেই লাউ সেই কদু। সিভি না দেখেই কমিটি দেওয়া। মাত্র ৬ বছর হয়েছে ছাত্রলীগ ছেড়েছি আমি নিজেই এদের কাউকে দেখি নাই কোন মিছিল মিটিং করতে।’ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাত পারভেজ আকন্দ রনি জেলার কমিটি প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘ক্ষমা করবেন অভিনন্দন দিতে পারলাম না। আমি না চিনি, নব্য পদধারীরাও ওনাদের চিনে, না।’ সুপ্রিয় দত্ত শুভ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী লিখেছেন, ‘ময়মনসিংহের রাজনীতিতে যে অধ্যায়ের সূচনা হল তা অনাগত আগামীর জন্য অশনিসংকেত।’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও মহানগর ছাত্রলীগের আংশিক আহব্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মোহাম্মদ আল আমিনকে সভাপতি ও হুমায়ূন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে সহ-সভাপতি ২৪ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৯ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন ৯ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।