নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বার্সা ছাড়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গেই রবরব সাজ শুরু হয়ে যায় প্যারিসে। তখন থেকেই গুঞ্জন তাদের শহরে আসছেন ফুটবলের মহাতারকা। তাকে স্বাগত জানাতে হাজারো সমর্থকদের ভিড় বিমানবন্দরে ও ক্লাব চত্বরে। সেই খেলোয়াড়ের জার্সি বিক্রি নিয়ে হুল্লোড় পড়াটাই তো স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। অনলাইনে লিওনেল মেসির সব জার্সি বিক্রি হয়ে গেছে মাত্র ৩০ মিনিটে।
আগের দিন সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্যারিসে মেসি। ইচ্ছে না থাকা সত্তে¡ও বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ভেঙে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন তারকা। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর বিক্রির জন্য মেসির জার্সি তোলা হয় পিএসজির অনলাইনে। শুরু থেকেই বিক্রির ধুম পড়ে যায়। শেষ হতে লেগেছে মাত্র আধা ঘণ্টা!
স্বাভাবিকভাবেই মেসির জার্সির জন্য একটু বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয় ভক্তদের। তাও বাধা মানেনি। আটকে রাখা যায়নি ভক্তদের। অন্যান্য খেলোয়াড়দের জার্সি মূল্যের চেয়ে দেড় গুণ বেশি দামেও এ জার্সি কিনতে কৃপণতা করেননি ভক্তরা। প্রতিটি জার্সি জন্য ম‚ল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৭.৯৯ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ হাজার ৭২০ টাকা।
অথচ স্বাভাবিকভাবে পিএসজির খেলোয়াড়দের জার্সি ম‚ল্য ১০৭.৯৯ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার ৭৪৫ টাকা। নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে কিংবা কিছুদিন আগেই যোগ দেওয়া সার্জিও রামোসদের জার্সি মূল্যও তাই। তবে গোলরক্ষকদের জার্সি মূল্য ছিল কিছুটা বেশি। ১১৭.৯৯ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৭৪০ টাকা।
নিজেদের অফিশিয়াল অনলাইন স্টোরে মেসির তিনটি সংস্করণের জার্সি বিক্রি করছে পিএসজি। মেসি যে জার্সি পরবেন, তেমন সংস্করণগুলোর দাম ১৫৭.৯৯ ইউরো করে। ‘স্টেডিয়াম সংস্করণ’- এর জার্সির (হোম) দাম আরেকটু কম- ১০৮.৩৮ ইউরো। স্টেডিয়াম সংস্করণে মেসির অ্যাওয়ে জার্সির দাম আরও কম- ৮৮.৭৬ ইউরো। তবে এসব জার্সি পিএসজি এখনো আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করা শুরু করেনি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সতর্কতা হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত। এমনকি নাইকির অফিশিয়াল অনলাইন স্টোরেও মেসির জার্সি ছাড়া হয়নি।
পিএসজিতে মেসি কতো নম্বর জার্সি পরে খেলবেন এ নিয়েও ছিল জল্পনা কল্পনা। ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় বার্সায় ১০ নম্বর পরে খেলেছেন। কিন্তু পিএসজিতে এ জার্সি পরেন নেইমার। যদিও মেসিকে তার জার্সি পরে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন নেইমার। মেসি অবশ্য সে প্রস্তাব সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। বার্সায় ২০০৪/০৫ মৌসুমে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুটা ৩০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছিলেন মেসি। ২০০৬/০৭ মৌসুমে খেলেছেন ১৯ নম্বর জার্সি পরে। পরে ২০০৮/০৯ মৌসুমে রোনালদিনহো ক্লাব ছাড়ার পর ১০ নম্বর জার্সি পান মেসি। তখন থেকেই বার্সায় এ জার্সি নিয়মিত হয়ে যায় তার জন্য। এবার যেন আবার সেই ক্যারিয়ারের শুরুতে চলে গেলেন মেসি। পিএসজিতে খেলবেন ৩০ নম্বর জার্সি পরে। এছাড়া বিকল্প ছিল ১৯ নম্বর জার্সি পরে খেলারও। কিন্তু সেখানেও কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। কারণ পিএসজিতে এ জার্সি পরে খেলেন পাবলো সারাবিয়া। তাই ৩০ নম্বর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মেসিকে।
অবশ্য মেসির ৩০ নম্বর জার্সি পরে খেলা নিয়েও সমস্যা কম ছিল লা পার্সিয়ানদের। লিগ ওয়ানের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নম্বর জার্সিটা নির্ধারিত থাকে গোলরক্ষকদের জন্য। মেসির জন্য লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুমতি চেয়েছিল পিএসজি। ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার এ জার্সি দেওয়া হয়েছে মেসিকে।
সিজনে মেসির ৫ লাখ পিস জার্সি সেল হলে টোটাল রেভিনিউ প্রায় ৮০ মিলিয়ন ইউরো। ৫৫% কস্ট অফ গুডস সোল্ড বাদ দিলে গ্রস প্রফিট ৩৫ মিলিয়ন ইউরো যা মেসির বেতনের সমান। আদতে এই সিজনে মেসির জার্সি বিক্রি হবে কম করে হলেও ১৫ লাখ পিস। মানে এক সিজনেই জার্সি বিক্রি করে মেসির সব খরচ উঠে আসবে।
এছাড়া মেসির জন্য পিএসজির স্টেডিয়াম ভিজিট বাড়বে, মিউজিয়াম ভিজিট বাড়বে, ম্যাচ টিকেট প্রাইস বাড়বে, ব্রান্ড ভ্যালু বাড়বে ফলে স্পন্সরদের থেকে বেশি টাকা আসবে। নতুন ব্রান্ড যোগ হবে। টি আর পি বাড়বে ফলে টিভি রাইটসও বাড়বে। মেসিকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করাবে সেখান থেকে বিশাল আয় আসবে। সবই মাঠের বাইরের আয়। মাঠের হিসেবটা কতো হবে একটু আন্দাজ করে দেখুন তো! আদতে মেসিকে কেন্দ্র করে পিএসজি যা আয় করবে তার আট ভাগের এক ভাগও তার পিছনে খরচ করতে হবে না পিএসজিকে।
এদিকে ২১ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে মেসি বার্সেলোনা ছাড়লেও তার জার্সি ক্যাম্প ন্যুর দোকানে বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছে ক্লাবটি। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মেসির এরই মধ্যে পিএসজির খেলোয়াড় হয়ে গেলেও অনেকেই তার বার্সায় ১০ নম্বর জার্সিটি কিনছেন, বিশেষ করে পর্যটকেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।