Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনীতে নিয়োগে সতীত্ব পরীক্ষা বন্ধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৬ এএম

ইন্দোনেশিয়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের বিতর্কিত সতীত্ব পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান। দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকারকর্মীরা এটিতে নারীর জন্য চরম অপমানজনক একটি পরীক্ষা হিসেবে অভিহিত করে এটি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। খবর রয়টার্সের। সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ পরীক্ষাকে অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি করে আসছিল। ইন্দোনেশিয়ার সেনাপ্রধান আন্দিকা পেরকাসা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, এখন থেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে নারীদের আর সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হবে না। নিয়োগ পরীক্ষায় এখন থেকে নারী-পুরুষ বলে আলাদা কিছু আর থাকছে না। সবাইকে একই ধরনের পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার নারীরা পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে যোগ্যতা পরীক্ষায় তাদের প্রথমে ‘সতীত্বের প্রমাণ’ দিতে হতো। আর সেই পরীক্ষা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামে পরিচিত। চিকিৎসক (পুরুষ কিংবা নারী) নারীদের যোনিতে দুটি আঙুল ঢুকিয়ে দেখে নেন হাইমেন পর্দা সুরক্ষিত রয়েছে কিনা। পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ফলে এই পর্দাটি ছিঁড়ে যায়। পর্দা ঠিক না থাকা মানেই ধরে নেওয়া হয়, ওই নারী যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। যদিও চিকিৎসকদের মতে, এই পর্দা আরও অনেক কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নারীদের ওপর এ পরীক্ষা ১৯৬৫ সাল থেকে চলে আসছে। উচ্চপদস্থ অফিসারদের যুক্তি ছিল— একজন নারী যিনি সেনা হিসেবে দেশের সেবা করতে চান, তাকে মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে অত্যন্ত দৃঢ় হতে হবে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ