নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিরিজ জয় আগেই নিশ্চয়ই হয়ে গিয়েছিল। সুযোগ ছিল ধবলধোলাইয়ের। চতুর্থ ম্যাচের হারে সেটি যখন হয়নি, তখন সিরিজ জয়ের ব্যবধানটা যতটা বড় করা যায়, সেই চেষ্টাই ছিল বাংলাদেশের। গতপরশু রাতের জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ গড়েছে ইতিহাস। তার আগে জিম্বাবুয়ের মাটি থেকেই টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছিল টাইগার শিবির। সেখান থেকে ফিরেই অস্ট্রেলিয়া সফর। বর্তমান করোনা বাস্তবতা মেনে দীর্ঘ দিন ধরে তাই জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই দিন কাটছে মাহমুদউল্লা-সাকিবদের। তারা অভিজ্ঞ, দীর্ঘ সময় ধরে পরিবা-পরিজন থেকে দূরে থাকায় অভ্যস্ত। তবে এবারের এই দুটি সিরিজে আলো ছড়িয়েছেন বেশ ক’জন নতুন নতুন তারকা। ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়ের পর এবার বাড়ি ফেরার পালা। তার আগে তাদের অনুভুতিগুলো একটু জেনে আসা যাক...
শরীফুল ইসলাম
নিজে ভালো করলে আর সঙ্গে যদি দলও জিতে, তাহলে ভালো লাগাটা অন্য রকম হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তাই হয়েছে। আর দলটা তো অস্ট্রেলিয়া। আমরা বড় হয়েছি ক্রিকেট বিশ্বে অস্ট্রেলিয়ার দাপট দেখে। তাদের হারানো, সেটাও আবার আমার ক্যারিয়ারের একদম শুরুতে, এটা অসাধারণ এক অনুভ‚তি, যা প্রকাশ করা একটু কঠিন।
মেহেদী হাসান
বড় দলকে হারানোর মজাই অন্য রকম। এই সিরিজে আমরা যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন, অভিজ্ঞদের সঙ্গে তারাও ভালো করেছে। আমরা অনেক ক্ষুধার্ত ছিলাম পারফর্ম করার জন্য। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে সেটা করতে পারা তো আনন্দের বিষয়। আশা করি, আমরা সামনে আরও সিরিজ জেতাতে পারব। আমাদের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
নুরুল হাসান
এই সিরিজে আমাদের অনেকগুলো প্রথম হয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতলাম। এরপর তো সিরিজও জিতেছি। সব দিক থেকেই অনেক ভালো একটা সময় কেটেছে। আমাদের শেষটাও ভালো করতে হতো। কালকের (পরশু) জয়ে শেষটাও ভালো হলো। আমাদের দলের জন্য এমন একটা বড় সিরিজ জয় খুব দরকার ছিল। সেটা অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে আসায় আমাদের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে যাবে।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার একটা স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই ছিল। বিশ্বকাপে একবার সুযোগ হয়েছিল খেলার। কিন্তু চোটের কারণে খেলা হয়নি। এবার ঘরের মাঠে যখন অস্ট্রেলিয়া এল, তখন একটা সুযোগের জন্য মুখিয়ে ছিলাম। চার ম্যাচ অপেক্ষার পর সুযোগটা পাই। চেষ্টা করেছি ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে। সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো একটা বড় দলকে সিরিজে হারিয়েছি, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।
সৌম্য সরকার
এটা অবশ্যই আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে সিরিজে হারানোর সুযোগ সাধারণত হয় না। আমাদের সিরিজ জয়ের উদযাপনও সে রকমই হয়েছে। বড় দলকে যখন আপনি হারাবেন, তখন দলের সবাই একটু বেশিই খুশি থাকে। কালও সবার মধ্যে সেই খুশিটা দেখতে পেরেছি। সবাই বলতে গেলে দারুণ কিছু স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।
শামীম হোসেন
আমি আসলে ভাগ্যবান। ক্যারিয়ারের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছি। সিরিজও জিতেছি। আর এমন না যে খেলাগুলো আমরা একতরফা জিতেছি। আমাদের কষ্ট করে জিততে হয়েছে। এটা আসলে অবিশ্বাস্য। আমাদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত খেলা হয় না। সেদিক থেকে আমার ভাগ্যটা মনে হয় ভালোই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।