প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বোটক্লাব কান্ডে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নায়িকার সঙ্গে ‘অপেশাদার আচরণ’-এর জন্য ইতিমধ্যে সেই তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এবার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করলেন নারীবাদী বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তার ক্ষোভ, ‘পুলিশের এক কর্মকর্তা এক সুন্দরী নায়িকার প্রেমে পড়েছেন বলে অফিসিয়ালি শাস্তি পাচ্ছেন। প্রেমের চেয়ে ভয়াবহ অপরাধ এখন আর কিছু নেই বাংলাদেশে।’
তসলিমার মতে, ‘বাংলাদেশ চালায় মিডিয়া। মিডিয়া যদি বলে এই মেয়েটা খারাপ, তা হলে লক্ষ কোটি বুদ্ধিহীন দু'পেয়ে জীবের কাছে সে খারাপ। মিডিয়া যদি বলে ওই পুরুষটা ভাল, তা হলে সকলের কাছেই সে ভাল।’
যদিও তার এই মত সমর্থন করেননি বহু অনুরাগী। জনৈক নেটাগরিক সরাসরি আঙুল তুলেছেন তসলিমার দিকেই। তার অভিযোগ, ‘আপনি প্রকৃত বিষয় জেনেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে লেখাটি লিখেছেন।'
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ব্যবসায়ী নাসিরুদ্দিন মাহমুদ এবং তার বন্ধু সিদ্দিকি আমিরের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরীমনি। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনির সঙ্গে পরিচয় হয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম সাকলায়েন শিথিলের। সেই সূত্র ধরে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। সর্বশেষ পরীমনি সেই পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় এসে অবস্থান করেন প্রায় ১৮ ঘণ্টা। পরীমনি গ্রেফতারের পর অকপটে স্বীকার করেছেন সবকিছু। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে পুলিশেও।
এদিকে, ৪ আগষ্ট (বুধবার) পরীমনির গ্রেফতারির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব তসলিমা নাসরিন। এক টুইট বার্তায় তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো নারীর বাড়িতে মদ রাখলে, তাকে গ্রেফতার করা হয়।’ টুইটে সরাসরি পরীমনির নাম না নিলেও কোন প্রসঙ্গে এই টুইট তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।