গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আপন ঠিকানায় ফিরতে চায় এক ভাগ্য বিড়ম্বনা অবুঝ শিশু। মা-বাবার কাছে যেতে। কিন্তু মুখ ফুটে হালকা সুরে কথা বলতে পারলেও পারছেন না আসল ঠিকানা বলতে। কোথা থেকে এসেছে সেটা বলার বয়স যে এখনও তার হয়নি। আশপাশের কেউই তাকে চিনতেও পারছে না। আর এভাবেই ১৩ দিন কেটে গেলো। তবুও পুলিশ খুঁজে পায়নি তার বাবা মায়ের সন্ধান।
মা-বাবার সাথে থাকতো ৬ বছরের শিশু সজিব। ঢাকা শহরের কোনো এক মাজারের পাশেই তাদের বাসা। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। বাবার নাম বাবুল আর মায়ের না চম্পা। এটুকুই সে বলতে পারে। আর কিছু বলতে পারছে না এই অবুঝ শিশুটি। ১৩ দিন পার হলেও এখনো সে পায়নি মা-বাবার সন্ধান।
সূত্রাপুর থানা-তেজগাঁও ভিকটিম সেন্টার, আনোয়ারা শিশুপল্লী সেন্টার ঘুরে তার ঠিকানা এখন মিরপুরের শিশু আশ্রয়ন কেন্দ্রে। শিশুটি মা-বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। অন্যদিকে পুলিশের অনুরোধ কোনো ব্যক্তি তাকে পারলে যেন সূত্রাপুর থানায় যোগাযোগ করে।
গত ২৯ জুলাই ভোরে সূত্রাপুর থানাধীন মুসলিম হোটেলের সামনে শিশু সজিবকে একা দেখতে পেয়ে সাকিব নামে এক পথচারী তাকে থানায় দিয়ে আসে। এরপর থেকে নানা জায়গায় সন্ধান করেও পুলিশ তার স্বজনদের খুঁজে পায়নি। সেও স্পষ্ট করে কোনো ঠিকানা বলতে পারছে না।
স্বজনদের খুঁজে না পাওয়ায় তেজগাঁও ভিকটিম সেন্টার, আনোয়ারা শিশুপল্লী সেন্টার সজিবকে আর রাখতে চাইনি।
এজন্য সোমবার (৯ আগষ্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করে সরকারি যে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে তাকে রাখার আবেদন করেন সূত্রাপুর থানার এসআই (নি.) রজমান হোসেন। আদালত তাকে মিরপুর-১ এর সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় পরিচালিত শিশু আশ্রয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, যেহেতু শিশুটির কোনো আইনত অভিভাবককে খুঁজে পাওয়া যায় নাই, সেহেতু তাকে মিরপুর-১ এর সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় পরিচালিত শিশু আশ্রয়ন কেন্দ্রে প্রতিপালনের নির্দেশ দেয়া হলো। উপযুক্ত প্রমানের ভিত্তিতে তার কোনো আইনানুগ অভিভাবক পাওয়া গেলে তার পূর্নাঙ্গ নাম ঠিকানাসহ ভোটার আইডি যাচাই ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যায়ন রেখে দাবিদার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা যেতে পারে।
সূত্রাপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান,‘শিশুটি নিজের নাম, বাবা আর মায়ের নাম আর বাড়ি মানিকগঞ্জ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। ঢাকায় বাসা কোথায় তাও বলতে পারে না। শুধু বলে ঢাকায় কোনো এক মাজারের পাশে তারা থাকে। এদিন সূত্রাপুর থানা পুলিশ তাকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।