পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারের সূচক ও বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড। লেনদেনও ইতিহাসের খুব কাছে। প্রায় ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের দেখা মিলেছে পুঁজিবাজারে। শুধু লেনদেন নয়, প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকসহ বাকি দুটি সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। একই সঙ্গে ইতিহাসরে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে বাজার মূলধন।
গতকাল বাজার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, খাদ্য, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত হয় প্রকৌশল খাত। ফলে বড় উত্থান দিয়ে শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয় গতকাল। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে চারটির। বস্ত্র খাতের ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১৯টির। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে তিনটির দাম কমেছে। ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির এবং দাম কমেছে আটটির। আর প্রকৌশল খাতের ৩৩টির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে আটটির।
খাদ্য, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল এবং ওষুধ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৭৩টির দাম কমেছে এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৬২৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি পাঁচ হাজার ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথমবারের মতো ছয় হাজার ছয়শ পয়েন্টের মাইলফলক পেরিয়ে গেল।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি উত্থান হয়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচকেরও। এর মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ছয় পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৩৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। যা এযাবতকালের মধ্যে এটি ডিএসই-৩০ সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। অপরদিকে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক এক হাজার সাড়ে চারশ পয়েন্ট স্পর্শ করল। এদিকে শুধু মূল্য সূচক নয় ডিএসইর বাজার মূলধনও এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। এর আগে কখনো ডিএসইর বাজার মূলধন এমন উচ্চতায় ওঠেনি। একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টির মধ্যে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। বাজারটিতে দিনভর লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইতে তিন হাজার ২৪৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়। বড় অঙ্কের এই লেনদেনের দিনে টাকার পরিমাণে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ন্যাশনাল পলিমার, জিপিএইচ ইস্পাত, এসএস স্টিল, জিনেক্স ইনফোসিস, মালিক স্পিনিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং ফু-ওয়াং সিরামিক।
অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ২৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৬ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫৭ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।