Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটন, জেল থেকে হয় পরিকল্পনা

গ্রেফতার ২৫ মামলার আসামী রঞ্জন

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২১, ৮:০৭ পিএম

সারে ৪মাস পর শেরপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনার সাথে জড়িত নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের হিরা লাল দাসের ছেলে এবং আন্তঃজেলা ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য রঞ্জন দাস রিপন (৪৩) কে গ্রেফতার করে পিবিআই। আর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পাওয়া এ ঘটনার মূল্য রহস্য। সে জানায় ইতিপূর্বে নেত্রকোনা জেলাকারাগারে হাজতবাস করাকালীন এখানে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। আজ ৯ আগস্ট সোমবার বিকেলে তাকে শেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে সে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

এ চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানান, ৮ আগস্ট রোববার ময়মনসিংহের গাঙিনারপাড় এলাকা থেকে তুষার রঞ্জন দাস রিপনকে গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এসময় কিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বা কারা কারা জড়িত সব কিছুই বলে দিয়েছে। তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্ততে আমরা অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত রঞ্জন দাস রিপনের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা ও জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৫টি মামলা রয়েছে। সে আন্তঃজেলা ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য এবং দুর্ধর্ষ ডাকাত।

এ ব্যাপারে জামালপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এম এম সালাহ উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, এ চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত তুষার রঞ্জন দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। তার দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ২১ মার্চ রবিবার দুপুরে শেরপুর-জামালপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর ইজারাদারের অংশীদার ব্যবসায়ী নূর হোসেন তার ভাতিজা মোটরসাইকেল চালক লিটনকে নিয়ে ইজারার কিস্তির ৩৫ লক্ষ টাকা মোটরসাইকেল যোগে ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার পথে শহরের মধ্যশেরী এলাকায় ৫ সদস্যের একটি ছিনতাইকারী দল ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে।

এ ঘটনায় ওই দিনই নূর হোসেন বাদী হয়ে থানায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে এ মামলার তদন্তভার দেয়া হয় শেরপুর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে। ডিবি পুলিশের হাতে মোটরসাইকেল চালক লিটনসহ সন্দেহভাজন ৩ জন গ্রেপ্তার হলেও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হয়নি। এ ঘটনায় একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা চাপের মধ্যে ছিলেন। দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার লক্ষে পরবর্তীতে মামলাটি জামালপুর পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেরপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ