বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ায় পরকীয়া করতে গিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে আবু জাফর প্রামানিক (৬২) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুলতানা (৫০) ও মিনি (৩৫) নামে দুই নারীকে আটক করেছে। সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে বগুড়া শহরতলীর ধরমপুর এলাকার হাফিজার রহমানের বাড়ি থেকে আবু জাফরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবু জাফর ধরমপুর সোনারপাড়ার মৃত ওহেদ আলীর ছেলে।
ধরমপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নিহত আবু জাফরের ছোট ভাই জাকির হোসেন জানান, তাদের প্রতিবেশী হাফিজার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আবু জাফর তাকে দেখার জন্য তার বাড়িতে যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাফিজারের স্ত্রী সুলতানা বেগম স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে ফোনে জানান, আবু জাফর তাদের বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ খবর পেয়ে আবু জাফরের পরিবারের লোকজন দেখতে পান বাড়িতে তালা দিয়ে হাফিজার ও তার স্ত্রী আত্মগোপন করেছেন।
পরে বাড়ির তালা ভেঙ্গে ঘর থেকে আবু জাফরের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জাকির হোসেন দাবি করেন তার বড় ভাই আবু জাফরকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে, খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ধরমপুর মধ্যপাড়ার স্বাধীনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা হাফিজারকে দেখতে পান। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাধীনের স্ত্রী মিনি বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, হাফিজারের বাড়িতে আবু জাফর মারা গেলে হাফিজারের স্ত্রী অসুস্থ স্বামীকে তার ভাই স্বাধীনের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। হাফিজার রহমান অসুস্থ থাকায় তাকে থানায় নেওয়া যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাধীনের স্ত্রী মিনি বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আরো বলেন, হাফিজারের স্ত্রী সুলতানা বেগম থানায় এসে জানায় তার অসুস্থ স্বামীকে দেখতে এসে আবু জাফর মারা গেছেন। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে তাকে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা বেগম পুলিশকে জানায়, আবু জাফরের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। অসুস্থ স্বামীকে দেখতে যাওয়ার অজুহাতে আবু জাফর মাঝে মধ্যেই তার বাড়িতে দীর্ঘ সময় কাটাতো। সোমবার সকালে আবু জাফর তার বাড়িতে গিয়ে পাশের ঘরে থাকা অবস্থায় অসুস্থ বোধ করে মারা যান। পরে ভয়ে তারা বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেন।বগুড়া সদরের ওসি আরও জানান, মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।