Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সীতাকুন্ডে ৩৩ হাজার ভোল্টের ২ বিদ্যুৎ পিলার ঝুঁকিতে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

পুনঃস্থাপনের অনুরোধ আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ

প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) থেকে

সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়ায় ৩৩ হাজার ভোল্টের দুটি বৈদ্যুতিক পিলারের মাটি সরে গিয়ে মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে যেকোনো সময় পিলার দুটি পড়ে গিয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়সহ প্রাণহানির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পিলার দুটি পুনঃস্থাপনের জন্য বার বার অনুরোধ জানালেও কোনো মাথাব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকু-ের বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে বোয়ালিয়া খালের পাড়ে পিডিবি কর্তৃক স্থাপনকৃত ৩৩ হাজার ভোল্টের দুটি পিলারের নিচের ও পাশের মাটি সরে যাওয়ায় পিলার দুটি হেলে পড়েছে। বর্ষা ও ঝড়বৃষ্টির সময় খালে প্রবাহিত পানির কারণে অবশিষ্ট মাটিগুলোও ভেসে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় যেকোনো মুহূর্তে পিলার দুটি পড়ে গিয়ে এলাকায় বড় ধরনের প্রাণহানি ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক পিলার দুটি পুনঃস্থাপন করতে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বার বার বাড়বকু- পিডিবি অফিসে আবেদন জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এনিয়ে কোনো মাথাব্যথাই নেই। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী জাহাঙ্গীর জানান, খালের পাড়ে স্থাপন করা ৩৩ হাজার ভোল্টের দুটি বিদ্যুৎ পিলারের পাশের মাটি পাহাড়ি ঢলে ধসে যাওয়ায় পিলার দুটি কাৎ হয়ে হেলে পড়েছে। ঐ খাল দিয়ে আবারো বৃষ্টি ও বর্ষায় ঢলের পানি নামার সময় আঘাতে ভেসে যেতে পারে অবশিষ্ট মাটিও। এ কারণে আজ অথবা কাল এই দুটি পিলার যে উপড়ে পড়বে তা শতভাগ নিশ্চিত। তিনি বলেন, পিলারগুলোর মধ্যখানে কয়েকটি বাড়ি ও হেফজখানা রয়েছে। ঝড়-তুফানে পিলারগুলো এসব বাড়ি ও হেফজখানার উপর পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে সংশ্লিষ্টরা খুবই আতঙ্কে আছেন। আর যদি এধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। আমরা এ পিলারগুলো সরিয়ে অন্যত্র পুনঃস্থাপন করার জন্য বার বার অনুরোধ জানিয়েছি। এলাকাবাসীও পৃথক আবেদন করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো কর্ণপাত করেনি। এদিকে কেন পিলারগুলো সরানো বা পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে না তা জানতে বাড়বকু- বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্যুৎ কর্মচারী জানান, ঐ পিলারগুলো সরানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বাড়বকু- অফিসের পক্ষ থেকে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সীতাকুন্ডে ৩৩ হাজার ভোল্টের ২ বিদ্যুৎ পিলার ঝুঁকিতে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ