পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া রাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাজু দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। তার বয়স হয়েছিল ২৮ বছর। নিহত সাজুর দেশের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়দেশ গ্রামে। সাজুর হত্যাকান্ডের ঘটনায় নর্থইস্ট ফিলাডেলফিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফিলাডেলফিয়ার সাউথ ফিলিতে ফ্রন্ট অ্যান্ড অরগানের চার্লিয়েডার্স জেন্টেলমেন্ট ক্লাব-এর পার্কিং লটে ডা. শাহরিয়ার ও মোয়াজ্জেম হোসেন সাজু পার্কে তাদের গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, এমন সময় দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ তাদের গতিরোধ করে এবং তাদের ওয়ালেট ও সেল ফোন দিতে বলে। এসময় ডা. শাহরিয়ার তার পকেটে থাকা সব দিয়ে দিলেও সাজু দিতে একটু গড়িমসি করার এক পর্যায়ে এক দুর্বৃত্তের সাথে তার একটু হাতাহাতি হয়। এমন সময় অপর দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে। পরে গুরুতর আহত সাজুকে স্থানীয় জেফারসন মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
নর্থ ইস্ট ফিলাডেলফিয়া বাসিন্দা নববিবাহিত সাজু সকলের পরিচিত শামস উদ্দীনের ছেলে। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে সাজু সবার ছোট। তার স্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থান করলেও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল নর্থ ইস্ট ইসলামিক সেন্টারে সাজুর নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।