পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্রমশই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে ‘মানবসৃষ্ট’ বন্যা বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অভিযোগ করেছেন। বুধবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে মমতাকে ফোন করেন মোদি। তখন মমতা এ অভিযোগ করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মোদি। একইসঙ্গে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। সূত্রের খবর, সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘ম্যান মেড’ বন্যার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। ডিভিসি পানি আধারের পলি পরিষ্কার করে না বলে অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রী। পলি পরিষ্কার করলে ডিভিসির তিনটি পানির আধারে অতিরিক্ত দুই লাখ কিউসেক পানি ধরত। পলি পরিষ্কার করলে আর অতিরিক্ত পানি ছাড়তে হত না। এমনটাই দাবি মমতার।
নবান্নের সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো আরো জানিয়েছে, ৫৪ হাজার কিউসেক পানি ছাড়বে বলে ডিভিসি দুই লাখ কিউসেক পানি ছেড়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অতিবৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক লাখ হেক্টর কৃষিজমি। বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে- রাজ্যে দেয়ালচাপায় ৬ জন, পানিতে ডুবে ৭ জন, বজ্রপাতে ৬ জন ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া কালিম্পংয়ে ভ‚মিধসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ইতোমধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৮১ জনকে দুর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে ৩৬১টি ত্রাণশিবির, যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ওদিকে এই বন্যাকে ‘ম্যান মেড’ উল্লেখ করে এর জন্য দামোদর ভ্যালি করপোরেশনকে (ডিভিসি) দায়ী করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ডিভিসি রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই পানি ছেড়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে প্রবল বর্ষণ যোগ হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দামোদর ভ্যালি করপোরেশন। বন্যায় মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র : জি নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।