বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারীদের গুলিতে বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ করিম উদ্দিন শাকিল বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের সদস্য এবং কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদলের সক্রিয় অনুসারী বলে জানা যায়। সে বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফা ড্রাইবারের নতুন বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আ.লীগের দুইগ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার থেকে ফেসবুক লাইভে এসে আমাকে ও আমার খালাতো ভাই রাহাতকে এবং ছাত্রলীগ কর্মী শাকিলকে হত্যার হুমকি দেয় কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল। হুমিকর দুই দিন পর কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে কাদের মির্জার ৩৫-৪০জন অনুসারী গতকাল বিকেল ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রী বাড়িতে শাকিলকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কেচ্ছা রাসেল শাকিলকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়লে সে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ঘোষিত উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম জানান, শাকিলের দুই পায়ে গুলির স্প্রিন্টারের আঘাত ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।