মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গরিব দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে কমপক্ষে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ তথা ভ্যাকসিনের বুস্টারের উপর স্থগিতাদেশের আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের কমপক্ষে ১০ শতাংশ জনসংখ্যার টিকা দেওয়া যায়। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এই আহ্বান জানান।
আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটার পরিসংখ্যান অনুসারে, এ পর্যন্ত আফ্রিকার মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ করে করোনা টিকা পেয়েছেন। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ধনী অঞ্চলে এর হার প্রায় ৫০ শতাংশ।
ডব্লিউএইচওর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের অনুন্নত ও দরিদ্র দেশগুলোতে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে গড়ে করোনা টিকার ডোজ নিয়েছেন মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। হাইতি, ডিআর কঙ্গোসহ অনেক দেশের কোনো মানুষ এখন পর্যন্ত টিকার ডোজ নিতে পারেননি।
এছাড়া বিশ্বব্যাংকের সূচকে উচ্চআয়ের দেশগুলোতে প্রতি ১০০ জন মানুষ টিকা পেয়েছেন প্রায় ১০১ ডোজ করে। চলতি সপ্তাহেই তারা ১০০ ডোজের মাইলফলক পার করেছে। সেই তুলনায় তালিকার তলানিতে থাকা নিম্নআয়ের ২৯টি দেশে এখনো এর হার পড়ে রয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশে।
এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে জনগণকে রক্ষায় সরকারগুলোর উদ্বেগ আমি বুঝতে পারি। কিন্তু যে দেশগুলো বৈশ্বিক টিকা সরবরাহের বড় অংশ ইতোমধ্যে ব্যবহার করে ফেলেছে, তারা আরও ব্যবহার করা আমরা মেনে নিতে পারি না।
এ অবস্থায় ডব্লিউএইচও প্রধানের এই বক্তব্য দরিদ্র দেশগুলোকে আশা দেখালেও তাতে খুব একটা সাড়া দেয়ার লক্ষণ নেই পশ্চিমা বিশ্বের। যুক্তরাষ্ট্র তো ইতোমধ্যে গ্যাব্রিয়েসুসের প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছে। বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এটিকে ‘ভুল বিকল্প’ উল্লেখ করে দাবি করেছেন, একসঙ্গে দুটি কাজই করা সম্ভব। অর্থাৎ নিজেরা বুস্টার ডোজ নেয়ার পাশাপাশি অন্য দেশগুলোতে টিকাদানও অব্যাহত রাখা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধু নিজেরা টিকা নিয়েই করোনা থেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকা সম্ভব নয়। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সামান্য সংক্রমণই গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য সারাবিশ্বে সমানভাবে টিকা ব্যবহার জরুরি।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল। জার্মানির সরকার মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ঘোষণা দিয়েছে, দেশের নাগরিকদের তৃতীয় ডোজ হিসেবে মডার্না এবং ফাইজার টিকার ডোজ দেওয়া হবে। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে জানিয়েছে, দেশের বয়স্ক ও সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা লাখ লাখ মানুষকে সেপ্টেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
এছাড়া, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অনেক দেশে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকাদান কর্মসূচিও শুরু হয়েছে।
বুধবারের বার্তায় ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক বলেন, ‘আগে বহুবার বলেছি, আবারও বলছি- বিশ্বকে মহামারিমুক্ত করতে হলে টিকার বণ্টনে সমতার কোনো বিকল্প নেই। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে বিশ্বের সব দেশের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে ডব্লিউএইচও এবং এজন্য আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকার ডোজ প্রয়োজন।’
‘উন্নত দেশসমূহকে আবারও আহ্বান জানানো হচ্ছে- তারা যেন তাদের কাছে থাকা অতিরিক্ত টিকার ডোজগুলো কোভ্যাক্সে জমা দেয়।’ সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।