মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আলোচিত পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে বিশেষ তদন্তের আবেদন করেছে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছুৃ পিটিশনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ইসরাইলে তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেতা, সাংবাদিক ও অন্যদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। এ বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এরপর বিরোধীরা ভারতের পার্লামেন্টে এ ইস্যুতে পূর্ণাঙ্গ আলোচনার দাবি তুললেও সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, তাদের কোনো এজেন্সি অননুমোদিতভাবে কোনো আড়ি পাতে নি।
এ নিয়ে অনলাইন এনডিটিভি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়ার আবেদন আজ সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ শুনানি করবে। এর নেতৃত্বে থাকবেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা ও বিচারপতি সুরাইয়া কান্ত। দুদিন আগে এই আবেদন করে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। এতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন স্পাইওয়্যার ইস্যুতে এবং এতে যাদেরকে টার্গেট করা হয়েছে তাদের তালিকার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দাবি করেন ।
এর আগে সিনিয়র সাংবাদিক এন রাম এবং শশী কুমার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (এসটিআই) কাছে এমন আবেদন করেন। এসটিআইয়ের প্রধান এখন সাবেক একজন বিচারক। এতে ফোনে আড়িপাতার বিষয়টিতে বিস্তারিত তথ্য দাবি করা হয়। তাদের আইনজীবী কপিল সিবাল প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন তাদের আবেদনকে তালিকাভুক্ত করেতে। কপিল সিবাল প্রধান বিচারপতিকে বলেন, এই তালিকায় আছেন সাংবাদিক, বিরোধী দলীয় নেতা এবং বিচারকরাও। একই দাবিতে এর আগে আরো দুটি আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। একটি আবেদন করেছিলেন সিপিএমের এমপি জন ব্রিতাস এবং অন্যটি করেছিলেন আইনজীবী এমএল শর্মা।
দ্য ওয়্যারসহ বিশ্বের অনুসন্ধানী মিডিয়াগুলো প্রকাশ করে যে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে শুধু ভারতেই ৩০০ ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট ঠিক করে। তবে সব ফোন হ্যাক করা হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। টার্গেটে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, তার নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, বর্তমানের দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ৪০ জন সাংবাদিক। এই ফাঁস হওয়া তালিকায় নাম আছে সিনিয়র সাংবাদিক পরাণজয় গুহ ঠাকুরতার। তিনিও আলাদা একটি পিটিশন করেছেন। তার পিটিশনের ওপরও আজ শুনানি হবে।
ওদিকে পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার। তারা বলেছে, টার্গেট করে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নজরদারি করার এই খবর ভুয়া। অন্যদিকে ফোনে আড়িপাতার জন্য পেগাসাস প্রস্তুতকারক ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ দায়ী নয় বলে জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ফোনের ডাটাবেজ ফাঁস হওয়ার সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। ওদিকে এ ইস্যুতে ভারতের বর্ষাকালীন পার্লামেন্ট অধিবেশন উত্তপ্ত করে তুলেছে বিরোধীরা। কিন্তু সরকার এ নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করতে মোটেও আগ্রহী নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।