রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোর জেলা সংবাদদাতা
বনশ্রী প্রকল্প নামে একটি বেসরকারি প্রকল্পে লোক নিয়োগ দেয়ার নামে নাটোরের সিংড়া, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পওয়া গেছে। এসব এলাকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গুরুদাসপুর উপজেলার মোবারক হোসেন নামে এক ব্যক্তি বনশ্রী প্রকল্পের নামে চাকরি দেয়ার কথা বলে বেশ কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। সে এখন কারো সাথে আর কোন যোগাযোগ করছে না। মোবারক হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার তেলটুপি গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে দু’টি চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে। এর আগে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি হারান। মোবারক হোসেন নিজেকে বনশ্রী প্রকল্পের জিএম পরিচয় দিয়ে সিংড়া উপজেলার গোডাউন পাড়ার সিদ্দিক, মহেশচন্দ্রপুরের বুলবুল, সরকার পাড়ার ফিরোজ ও ফরিদুল, সাতপুকুরিয়া গ্রামের গোলাম হোসেনসহ ১৭ জনের কাছ থেকে মোট পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগও রয়েছে। বড়াইগ্রাম উপজেলার তারানগর গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে শাহ্ আলম ও একই উপজেলার জলোরা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে শামিম হোসেন তার দু’জন সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তারা নাটোর জেলায় বনশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর জন্য এই বনশ্রী প্রকল্পের বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেয়ার কথা বলে গুরুদাসপুর, সিংড়া ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে চাকরির নিয়োগপত্র না দেয়ায় অনেকের সন্দেহ হয়। নিয়োগ পত্রের জন্য চাপ দিলে তারপর থেকে মোবারক হেসেন ও তার সহযোগীরা লাপাত্তা হয়ে যায়। এ বিষয়ে মোবারক হোসেনের সাথে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নাটোর বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ বলেন, বেসরকারি ভাবে এধরনের প্রকল্প অনুমোদন রয়েছে বলে তার জানা নেই তাই ওটা অবশ্যই একটি ভুয়া প্রকল্প। তিনি আরো বলেন, ওই লোকটাকে তিনিও একজন প্রতারক হিসেবেই চিনেন। প্রতারণার জন্য তার চাকরি চলে গেলে তিনি বনায়নের জন্য তার কাছে সহযোগিতা চাইলেও তিনি তা দেননি। তিনি এই ধরনের ব্যক্তির কাছে কেউ যেন প্রতারিত না হয় সে দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। নাম উল্লেøখসহ আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।