Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১০ অক্টােবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণহারে করোনা টিকাদানের জন্য আরও ১৮১টি কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে সিলেটে

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২১, ৫:২৬ পিএম

করোনার সংক্রমণ রোধ করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে গণহারে টিকাদানের। আগামী শনিবার থেকে এই উদ্যোগের শুরু হবে বাস্তবায়ন কাজ। এই গণহারে টিকাদানের জন্য আরও ১৮১টি কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে সিলেটে। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এলাকায় হবে ৮১টি কেন্দ্র। জেলার ১৩টি উপজেলায় হবে বাকি ১০০টি কেন্দ্র। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে সিলেট নগরীতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং টিকা দেওয়ার কাজ চলছে পুলিশ লাইনে । আর উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে আগামী শনিবার থেকে সিলেট জেলার সকল ইউনিয়নে এবং সিসিকের সকল ওয়ার্ডে টিকাদান শুরু হবে। উপজেলাগুলোতে সিনোফার্মা এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হবে সিসিকের ওয়ার্ডগুলোতে।

সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে তিনটি করে টিকাদানকেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ৮১টি কেন্দ্র হবে। টিকাদানকেন্দ্রগুলো নির্দিষ্ট করে এর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, জেলার ১৩টি উপজেলায় ১০০টি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র হচ্ছে। এই তালিকা করা হয়েছে চূড়ান্ত। তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন টিকা দানকারী ও তিন-চারজন থাকবেন স্বেচ্ছাসেবী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাঠকর্মী, কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা এ কাজ করবেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের সহায়তাও নেয়া হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে একদিনে অন্তত লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টিকাদানের। তবে টিকাদানের সংখ্যা মূলত টিকা প্রাপ্তির ওপরই নির্ভর করছে। বেশি টিকা পেলে বেশি সংখ্যক মানুষকে দেয়া হবে। বর্তমানে টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানা গেছে। গত সোমবার ৪২ জন কর্মীকে নগর ভবনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন ডা. জাহিদ। তিনি জানান, সিসিকে ১৭০ জনের মতো টিকাদানকর্মী প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের টিকার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ একটি জরুরি বিষয়। ডা. জন্মেজয় দত্ত জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা নিতে আইসবক্স করা হবে ব্যবহার, যাতে ঠিক থাকে মান। সিসিকের ওয়ার্ড এবং উপজেলাগুলোর ইউনিয়নে পূর্ব রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই টিকা নেয়া যাবে। কারণ, টিকা কেন্দ্রগুলোতে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশনের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ