Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুলসুমীর প্রতারণার শিকার সেই মিনু বেগম

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ৭:৩৬ পিএম

দেড় লাখ টাকার টোপ দিয়ে মিনু বেগমকে নিজের যাবজ্জীবন সাজা খাটাতে কারাগারে পাঠান মূল আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমী। হতদরিদ্র মিনু টাকার লোভে কারাগারে গেলেও পরে তাকে আর টাকা দেয়া হয়নি। রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ প্রতারণার কথা স্বীকার করেন কুলসুমী।

এ ঘটনায় জড়িত কুলসুমীর আরও দুই সহযোগী নুর আলম কাওয়াল (৪৮) ও শাহাদাত হোসেনকে (৪২) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সীতাকুন্ডের সলিমপুর এলাকায় ছিন্নমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। এর আগে গত ২৮ জুলাই নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে কুলসুমী ও তার সহযোগী মর্জিনা আক্তারকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়ে যাওয়ার পর টাকার বিনিময়ে কাউকে জেল খাটানোর পরিকল্পনা করে কুলসুমী। মর্জিনার মাধ্যমে মিনু বেগমকে খুঁজে বের করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন শিশু সন্তান নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়েন মিনু। তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে কারাগারে পাঠাতে রাজি করা হয়। ওই দুই ছিন্নমূল নেতার মধ্যস্থতায় মিনু কারাগারে যান। মিনুর পুরো টাকা ওই দুই নেতার হাতে বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল।

শুরুতে কিছু টাকা দেয়া হলেও পরে আর কোন টাকা দেয়া হয়নি। টাকা না দিয়ে তারা ওই এলাকায় তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে ইপিজেড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে চলে যান। টাকা না পেয়ে তাদের বাড়িঘর দখলে নেন ওই দুই ছিন্নমূল নেতা। অন্যদিকে খালি হাতেই প্রায় তিন বছর কারাভোগ করেন মিনু। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিন পেলেও সড়ক দুর্ঘটনায় মিনুর মৃত্যু হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতারণা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ