বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাস ভয়াল রূপ দেখিয়েছে জুলাই মাসে। মহামারীতে সদ্য পেরিয়ে আসা জুলাই মাসে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ভয়াবহতা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ মাসে সর্বাধিক মৃত্যুর সাথে রেকর্ড শনাক্তও হয়েছে। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ওই মাসেই এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। তবে জুলাইয়ের শেষ দিকে এসে বিভাগে করোনার শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মহামারীতে এক মাসে সর্বাধিক ১ হাজার ৩১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে জুলাইয়ে। এক মাসে সর্বাধিক ৩৬ হাজার ১৫ জন রোগীও শনাক্ত হয়েছে। আর একই মাসে সর্বাধিক ৩০ হাজার ৩৮৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অপরদিকে গত জুন মাসে বিভাগে ৪২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনাক্ত হয়েছিল ২২ হাজার ৬২৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ৭ হাজার ৪৩ জন। শনাক্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় জুলাইয়ে করোনার ভয়াবহ অবস্থা ছিল খুলনা অঞ্চলে। মহামারীর ১৭ মাসে এখন পর্যন্ত খুলনা বিভাগে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। যা গত বছরের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর অর্ধেকের বেশি।
গত বছর মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর এক দিনে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছিল শুক্রবার (৯ জুলাই)। আর ৭ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তবে জুলাইয়ের প্রথম তিন সপ্তাহের চেয়ে শেষ সপ্তাহে এসে সেই ভয়াবহতা কমেছে। সর্বশেষ ৩১ জুলাই বিভাগে ১৯ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছে ৫৭১ জনের।
জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। খুলনায় মারা গেছেন ৬২৪ জন। এরপর কুষ্টিয়ার অবস্থান। এই জেলায় ৫৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া যশোরে ৩৪৪ জন, ঝিনাইদহে ২০২ জন, চুয়াডাঙ্গা ১৬১ জন, মেহেরপুরে ১৩৭, বাগেরহাটে ১২৩ জন, নড়াইলে ৯২জন, সাতক্ষীরায় ৮৫ জন ও মাগুরায় ৬৭ জন মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।