পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ রেখে গার্মেন্টস, শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যাতায়াতের সুব্যবস্থা না করে শিল্প কল-কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের হয়রানি করা হয়েছে।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের পারস্পরিক কোনও সমন্বয় নেই। এ কারণে একেক মন্ত্রী একেক ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জাতিকে ভোগান্তিতে ফেলতে দ্বিধা করেন না। সব ক্ষেত্রেই এক হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। শ্রমিকদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত না করে, গণপরিবহন না খুলে এভাবে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া দেশের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ফেরা সকল শ্রমিকের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার দাবি জানান। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই তারা জনগণের জীবন, মৃত্যু, ভোগান্তি কোনও কিছুর তোয়াক্কা করে না। গরিব, অসহায়, মেহনতি মানুষদের তারা মানুষই মনে করে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিবৃতিতে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, শিল্প- কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর সারা দেশ থেকে অর্ধ কোটিরও বেশি শ্রমিক, কর্মজীবী শত শত মাইল পথ পায়ে হেঁটে, ছোট যানবাহনে গাদাগাদি করে ১০ থেকে ১৫ গুণ ভাড়া দিয়ে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন। ফেরিঘাটগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ফেরিতে মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। এতে একদিকে এই অসহায় শ্রমজীবী মানুষদের সীমাহীন ভোগান্তি সইতে হচ্ছে, অপরদিকে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।