গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা রক্তদানের ল্যাব শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে। ১৩ লক্ষাধিক মুমূর্ষু রোগীকে এই সেবা দিতে পারায় কোয়ান্টামের সকল স্বেচ্ছা রক্তদাতা, স্বেচ্ছাসবী এবং কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই চার লক্ষাধিক রক্তদাতার মাধ্যমে সেবার এই সংখ্যা ছাড়ায় কোয়ান্টাম।
ল্যাব কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ল্যাব সরবরাহ করতে পেরেছে ১৩ লক্ষ ৫ হাজার ১৮২ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান। এই রক্ত আসে কোয়ান্টামের চার লাখ ১৬ হাজার ৬০৮ জন স্বেচ্ছা রক্তদাতার সহযোগিতায়। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করেছেন লাইফ লং ডোনার ৪৭ হাজার ৯৩৫ জন, ১০ বারের রক্তদাতা সিলভার ডোনার ১০ হাজার ৩১৯ জন, ২৫ বারের দাতা গোল্ডেন ডোনার এক হাজার ৯২৬ জন এবং ৫০ বার রক্ত দিয়েছেন এমন প্লাটিনাম ডোনারের বর্তমান সংখ্যা ৪৬ জন। এছাড়াও অনিয়মিত দাতার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮২ জন।
ল্যাব কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, করোনার দুর্যোগ সময়েও কোয়ান্টাম ল্যাব কর্মীরা তাদের এ সেবা কার্যক্রম চালু রেখেছেন। প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কোয়ান্টাম ল্যাবে রক্তদানের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এক ব্যাগ রক্ত থেকে নানা উপাদান আলাদা করা সম্ভব। ফলে এক ব্যাগ রক্তে কমপক্ষে চার জন রোগীর প্রয়োজন মেটানো সম্ভব।
গত বছর ২০২০ সালে কোয়ান্টাম ল্যাবে রক্ত ও রক্ত উপাদানের চাহিদা ছিল ৯৭ হাজার ৬১৪ ইউনিট। এর বিপরীতে ল্যাব সরবরাহ করতে পেরেছে ৮৫ হাজার ৩৫৭ ইউনিট। দেশে রক্তের চাহিদা পুরোটা মেটাতে নতুন স্বেচ্ছা রক্তাদাতার অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে। রক্তের যেহেতু কোনো বিকল্প নেই তাই স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমেই থ্যালাসেমিয়া রোগী, সন্তানসম্ভবা নারী কিংবা অপারেশনের রোগীকে প্রয়োজনের মুহূর্তে রক্ত সরবরাহ করা সম্ভব।
২০০০ সালে শুরু করে দুই দশকের নিরলস প্রচেষ্টায় চলছে কোয়ান্টাম ল্যাবের এই রক্তদান কার্যক্রম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) নির্ধারিত ৫টি স্ক্রিনিং টেস্ট যেমন- হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইডস এবং ম্যালেরিয়া ইত্যাদির বাধ্যতামূলক পরীক্ষার ফলে ল্যাব থেকে সরবরাহকৃত রক্তের ব্যাপারে গ্রহীতারা খুবই আস্থাশীল।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছা রক্তদাতারা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন। এছাড়া নিয়মিত রক্তদাতার হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকে অনেক কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।