পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো “ব্ল্যাক ফাঙ্গাস” (কালো ছত্রাক) আক্রান্ত এক নারী শনাক্ত হয়েছেন। বুধবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা ফেরদৌসি বেগম (৬০) নামে এই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হবার পর তার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করেছেন চিকিৎসকরা। চার দিন ধরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, এই রোগীর চিকিৎসা চলছে। আমরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেখবো। এরপর রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হবে কি না সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা যায়, গত ২৫ জুন থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন ফেরদৌসি বেগম। গত ৩ জুলাই তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ১৩ জুলাই তিনি করোনা নেগেটিভ হলেও তার নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে স্বজনরা তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসকরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আজ এই রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়।
জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী পাঁচদিন আগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন।
ফেরদৌসি বেগমের ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বলেন, পাঁচদিন আগে আমি আব্বাকে হারিয়েছি। এখন আমার মা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
ফেরদৌসি বেগমের মেয়ে তাহমিনা বেগম বলেন, ১৩ জুলাই মায়ের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। ১৫ জুলাই হঠাৎ তার দাঁতে ব্যথা শুরু হয়। আমরা মনে করেছিলাম, এটা ডেন্টাল প্রবলেম। একজন ডেন্টিস্টের কাছেও নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা রিপোর্ট দেখে তিনি সন্দেহ করেন, মা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।
এরপর আমরা মাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। বায়োপসি রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন মা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।