পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা দুই কার্যদিবস দরপতনের পর দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে এদিন শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী করতে সব থেকে বড় ভ‚মিকা রেখেছে বীমা ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। লেনদেনের শুরু থেকে এই দুই খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। গতকাল বীমা ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা লেনদেনের শেষদিকে অন্য খাতের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে দিনের লেনদেন শেষ হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এদিন তালিকাভুক্ত ৫১টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে সাতটির। বাকি একটির শেয়ার লেনদেন অপরিবর্তিত রয়েছে। আর বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির এবং পাঁচটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বীমা ও বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার দিনে সব খাত মিলে ডিএসইতে ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২২টির। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্য সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১০১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪২ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাইফ পাওয়ারটেকের ৪১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জিপিএইচ ইস্পাত, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, পিপল ইন্স্যুরেন্স, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, রহিমা ফুড, রবি এবং জিবিবি পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।