Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

৪০ বছরে ৫৯৫টি নৌ-দুর্ঘটনায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ মারা গেছে
স্টাফ রিপোর্টার : ১৯৭৬ সাল হতে এ পর্যন্ত অর্থাৎ ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত  দেশে ৫৯৫টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এ তে ৪ হাজার ৬৭১ জনের প্রাণহানী ঘটে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের এম এ আউয়াল এমপির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এতথ্য দেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে প্রশ্নের উত্তর দেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
সংসদে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ট ৫৯৫টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৬৭১ জনের প্রাণহানীর পাশাপাশি ৫১০ জন আহত হন। এছাড়া ৪৬৬ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানানো হয়। এরমধ্যে ২০০৩ সালের সর্বাধিক মানুষের প্রাণহানী ঘটে। তখন ৩১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪৬৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৯৮৬ সালে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪২৬ জনের মৃত্যু ঘটে, ১৯৯৪ সালে ২৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩০৩ জনের মৃত্যু ঘটে, ২০০০ সালে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৫৩ জন, ২০০৫ সালে ২৮টি দুর্ঘটনা ঘটে এতে ২৪৮ জনের প্রাণহানী ঘটে। এছাড়া ২০০৯ সালে ৩৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের প্রাণহানী ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন বছওে নৌ-দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।  
সরকারি দলের গোলাম দস্তগীর গাজীর এমপির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের নদীগুলোতে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করে না। লঞ্চ চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ফিটনেস সনদ থাকা সাপেক্ষে রুট পারমিট এবং টাইম টেবিল প্রদান করা হয়। কাজেই ফিটনেস সদন বিহীন লঞ্চের চলাচলের কোন সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, নৌপথে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল আইনত দ-নীয় অপরাধ। ফিটনেসবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।  নৌপথে নিরাপদ চলাচলের জন্য বিভিন্ন নৌবন্দও আধুনিকায়ন, বিভিন্ন নৌরুটের নাব্যতা নিশ্চিতকরণ এবং পলিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌরুটের নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌ-বাণিজ্যের পথ সুযোগ করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর এমপির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনে বর্তমান সর্বমোট নৌযানের সংখ্যা ১৯৫টি। তার মধ্যে ৫০টি ফেরী, ৩৯টি যাত্রীবাহী জলযান, ৭টি কোস্টার, ১২টি ট্যাংকার, ডাম্ব বার্জ ১২টি, টাগ ১৫টি, সেলফ প্রপেল্ড বার্জ ৬টি এবং সহায়ক জলযান রয়েছে ৫৪টি। এছাড়া নৌপথ সংরক্ষণ, সার্ভে, পল্টন স্থানান্তর, ড্রেজার সহায়ক যন্ত্রপাতি স্থানান্তর কাজে সার্ভে, টাগ, ওয়াক বোট ও ৪টি উদ্ধারকারী জাহাজসহ মোট ৬৪টি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন নৌযান রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংসদে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ